ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

আহমেদাবাদে বিস্ফোরণ মামলায় ৩৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:১৬ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

দীর্ঘ ১৩ বছর পর আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের রায় দিয়ে দোষীদের সাজা শোনাল রাজ্যের বিশেষ আদালত। রায়ে ৪৯ জন আসামীর মধ্যে ৩৮ জনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি ১১ জনকে জাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে।

২০০৮ সালের ২৬ জুলাই পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল আহমেদাবাদ। ৭০ মিনিটে ২১টি বিস্ফোরণ হয়েছিল সেদিন।

এই হামলায় ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনায় আরও প্রায় ২৪০ জন জখম হয়েছিলেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার বদলা নিতেই নাকি এই হামলা চালানো হয়েছিল। হামলার দিন জখম ব্যক্তিদের যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সেখানেও হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

ঘটনায় সামনে আসে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম। সেই সময গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন অমিত শাহ।

তদন্তে জানা গেছে, হামলায় ব্যবহৃত আইইডিগুলি তৈরি করেছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের আজমগড় মডিউল। আমদাবাদে হামলার আগে সুরাটে এই আইইডিগুলো রাখা হয়েছিল। এর পেছনে ছিল রিয়াজ ও ইকবাল ভাটকলের গ্রুপ।

কর্নাটকের জিহাদি গ্রুপের হাতও ছিল এই হামলার পিছনে। একটি ভুয়া রেজিস্ট্রেশনযুক্ত গাড়ি ও খবর কাগজে মোড়া আইইডি দেখেই এই ঘটনায় বরোদা যোগের সন্ধান পান তদন্তকারীরা।

কারণ খবরের কাগজটি ছিল বরোদা থেকে প্রকাশিত। এরপর বরোদায় তদন্তে নেমে একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আজমগড়, দিল্লি, মুম্বইতেও তল্লাশি চলে। বড়সর মডিউলের সন্ধান পান তদন্তকারীরা।