ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে জনপ্রিয় বাংলার চর্চা (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান

প্রকাশিত : ১১:৫৮ এএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১২:০০ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

দেশে এখন ৪১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা রয়েছে। এসব সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা থাকলেও অধিকাংশই কথা বলেন রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলায়।

প্রায় ৫৭ হাজার বর্গমাইল বিস্তৃত ভূমিতে বাঙালি ছাড়াও অন্তত ৪৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। 

বিভিন্ন সংস্কৃতির মেলবন্ধনে মুখর অপরাজেয় বাংলাদেশ। তাইতো পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরাও সানন্দে পরিবেশন করে আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত।

নিজস্ব সংস্কৃতির ভাষায় অবিচল শ্রদ্ধা রয়েছে প্রতিটি নৃগোষ্ঠীর। বিভিন্ন পেশাজীবীর সঙ্গে ওঠাবসা আর শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠা এ সকল জাতিসত্ত্বার বাংলা ভাষার প্রতি মমত্ববোধ চোখে পড়ার মতো।
 
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষার প্রতি সম্মান রেখে বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিটি বিদ্যালয়।   

পাবর্ত্য এলাকায় চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, চক ও বম সমাজের আধিক্য বেশি। যাদের মধ্যে নিজস্ব ভাষা ছাড়াও রাষ্ট্রভাষা বাংলার চর্চা বেশ জনপ্রিয়।

সিলেট, ময়মনসিংহ. পটুয়াখালী, নেত্রকোনা, বরগুনাসহ বিভিন্ন প্রান্তে অন্যান্য নৃগোষ্ঠিীর বসবাস। বাংলা ভাষার প্রতি তাদের যেমন শ্রদ্ধা রয়েছে তেমনি সংস্কৃতি রক্ষায় অব্যাহত রয়েছে নিজেদের ভাষা চর্চা। 

অন্যান্য গোষ্ঠীর মতোই এদেশে রয়েছে অহমিয়া, উসাই, উড়াই, কামতাপুরি, কোচ, গুড়িয়া, ডালু, নেপালি, পাহাড়ি, মাড়ওয়ারীসহ বিভিন্ন ভাষার প্রচলন। 

তবে কোনো ভাষাই যেনো হারিয়ে না যায়, সেদিকে সজাগ থাকার তাগিদ গবেষকদের।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘অনেকগুলো ভাষা জানা ভাল কিন্তু তার মাতৃভাষা তাকে জানতে হবে। কারণ মাতৃভাষা তার পরিচয়। মাতৃভাষার সঙ্গে তার আবেগ জড়িত, তার আত্মপরিচয় জড়িত, তার সংস্কৃতি জড়িত। সেজন্য আমি মনে করি, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আদিবাসী ভাষায় বাংলা একাডেমির মতো যেন একটি একাডেমি থাকে।’

লুসাই, হাজং, খাড়িয়া, খিয়াং, খুমি, বর্মন, মাহালিসহ বিভিন্ন গোত্রের মানুষ নিজেদের ভাষার পাশাপাশি বাংলাকে বহুদিন  ধরেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। এভাবেই বাংলার পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষা এদেশে টিকে আছে সম্মানের সাথে।

এএইচ/