ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

উচ্চ বেতনই নয় সুযোগ-সুবিধাও বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায় (ভিডিও)

সাইফ ইসলাম দিলাল

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার

প্রবাসী আয়ের অন্যতম বড় উৎস হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটিতে শ্রমিকদের বেতন বেশি, প্রেরণের খরচও কম। আর সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও পাঠানোর কাজ করে তাই প্রতারণার আশঙ্কা থাকে না। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করলে দক্ষিণ কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি বছরে ১০ হাজারে উন্নীত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমস বা ইপিএসের আওতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। দক্ষ ও স্বল্পদক্ষ বিবেচনায় কর্মীরা বেতন পান এক থেকে দুই লাখ টাকা। ক্ষেত্রে বিশেষে আরও বেশি।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ংওয়ান কর্পোরেশনের কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যেসব দেশের শ্রমিকের চাহিদা বেশি সেসব দেশ থেকে শ্রমিক বেশি আনা হয়। আর যেদেশের শ্রমিকের চাহিদা কম সেখান থেকে কম আনা হয়। পুরোটাই নির্ভর করে মালিকদের উপর।’

বোয়েসেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. বিলাল হোসেন বলেন, ‘এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমস ‘ইপিএস’ এই একটা কর্মসূচি আছে সাউথ কোরিয়ায়। এখানে বেতনও বেশি। এই কর্মসূচিতে ১ লাখ ৮০ হাজার থেকে বেতন শুরু। তবে তা ফ্যাক্টরি টু ফ্যাক্টরি নির্ভর করে।’

শুধু উচ্চ বেতনই নয়; দক্ষিণ কোরিয়ায় বিদেশি কর্মীরা নানা সুযোগ-সুবিধা পান। তাই এখানকার শ্রমবাজার ধরতে শ্রমিক প্রেরণকারী দেশগুলোরও আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। তবে কর্মী নেয়ার আগে গমনেচ্ছুদের কর্মদক্ষতা ও ভাষাজ্ঞানসহ বেশকিছু বিষয় কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করে দেশটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, ‘কোরিয়ার সঙ্গে যুক্ত হলে ২ লাখ লেবার নয় যদি ১০ হাজার ওয়ার্ক ফোর্স লেবার পাঠাই সেই ১০ হাজারের রেমিট্যান্স অনেক বেশি। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, এই মার্কেট সম্প্রসারণ করা দরকার। দক্ষিণ কোরিয়াও নিতে আগ্রহী।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় কর্মী প্রেরণ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি জরুরি রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা বা কূটনৈতিক উদ্যোগ। পাশাপাশি দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো গড়ে তোলারও বিকল্প নেই।

দক্ষিণ কেরিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেন, ‘আমাদের কর্মীদেরকে যদি কোরিয়ার বাজারে পাঠানো হয় তাহলে সেখানে ভাল বেতন পাওয়া যাবে। পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন দালাল বা চিটিং হওয়ার কোন শঙ্কা নেই। এই বাজারটার প্রতি আমাদের আরও মনোযোগী হতে হবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজারে চীনা আধিপত্যে ভাগ বসাতে শুধু ভাষাজ্ঞান ও স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন দুই থেকে চার বছর মেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরি শিক্ষা।  

এএইচ/