নকল রুখতে আজব নির্দেশ, পরীক্ষার সময় থানায় বন্দি গৃহশিক্ষক!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার
বাথরুমের দেওয়াল থেকে শুরু করে জামার ভাঁজেও নকল! অনেক সময় কার্নিশ বেয়ে পরীক্ষার হলেও চলে আসে পরীক্ষার প্রশ্রে উত্তর।! মোদ্দা কথা টোকাটুকির সৃষ্টিশীলতা এর নিত্যনতুন কৌশলে নাজেহাল শিক্ষা অধিদপ্তর। হাজার কড়া পদক্ষেপেও যা আটকানো যাচ্ছিল না। তবে, শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে খবর ছিল, পরীক্ষার্থীদের এই নকলে সাহায্য করছেন কিছু প্রাইভেট টিউটর। এই অবস্থায় নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভিন্ড এবং মোরেনা জেলার শিক্ষা অধিদপ্তর। নকল করা রুখতে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রাইভেট টিউটরদের থাকতে হবে থানায়।
১৭ ফেব্রুয়ারিতে ভারতের মধ্যপ্রদেশে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষার প্রথম দিন জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ মতো বহু প্রাইভেট টিউটরকে থানায় পুলিশের নজরে থাকতে দেখা গেছে। এদিকে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্যে। কেউ কেউ বলছেন এটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। অনেকেই অবশ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষেই মত দিয়েছেন।
গোটা ভারতের স্কুল ও কলেজেই কমবেশি পরীক্ষায় নকল করার বিষয়টি রয়েছে। কিছুকিছু রাজ্যে যা অত্যাধিক মাত্রায় হয়ে থাকে।
মধ্যপ্রদেশের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষায় টোকাটুকির অভিযোগ পুরনো। যা রুখতে অতীতে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে পর্ষদ। তবে কোনও কিছুতেই টোকাটুকি বন্ধ করা যায়নি। এইসঙ্গে অভিযোগ আসছিল, অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের টোকাটুকিতে সাহায্য করছেন তার প্রাইভেট টিউটর।
এই বিষয়টিকে রোখার জন্যই ‘আজব’ সিদ্ধান্ত নিল রাজ্যের ভিন্ড এবং মোরেনা জেলার শিক্ষা দপ্তর। রীতিমতো পরিকল্পনা করে ব্লক ধরে ১৫০ জন অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
এর পর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ওই শিক্ষকদের একটা অংশকে স্থানীয় থানায় বসিয়ে রাখা হয়। কিছু শিক্ষককে ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে বসিয়ে রাখা হয় বলে জানা গেছে। তবে পরীক্ষার সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরেই শিক্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি