ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্যক্তি উদ্যোগে চলছে ভাষা জাদুঘর (ভিডিও)

দিপু সিকদার

প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০২:৪৭ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার

কেবল ব্যক্তি উদ্যোগেই চলছে ভাষা জাদুঘর। দীর্ঘ দেড় দশক ধরে এখান থেকে ভাষা আন্দোলনের তথ্য জানছে তরুণ প্রজন্ম। উদ্ভাসিত হচ্ছে মাতৃভাষার ইতিহাস ও বাঙালি চেতনা। 

বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে বায়ান্নর আন্দোলন আর জাতির সূর্যসন্তানদের জীবন দেয়ার ঘটনা গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সালাম-বরকতদের চরম সেই আত্মত্যাগের স্বীকৃতিও মিলেছে কালক্রমে। 

২১শে ফেব্রুয়ারি আজ তাই বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে।

২১শের সকল শহীদের স্মরণে রাজধানীর ধানমণ্ডি ১০ নম্বর সড়কে ২০০৬ সালে ‘ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর’ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব। ধীরে ধীরে আলোকচিত্র, বই, ইতিহাসের নানা উপকরণ আর ভাষাসৈনিকদের ব্যবহার্য নানান জিনিস দিয়ে স্বল্প পরিসরে সেজেছে জাদুঘরটি।

কাজী গোলাম মাহবুবের মৃত্যুর পর জাদুঘরের হাল ধরেছেন তাঁর স্ত্রী। এখানে ভাষা আন্দোলনের জানা-অজানা অনেক ইতিহাস মূর্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাদুঘরটির বর্তমান এই প্রধান নির্বাহী।

ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠাতা পেয়ারী মাহবুব বলেন, ‘করার সরকারের, সেখানে আমরা করলাম। যত ভাষাসৈনিক আছেন তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছি। ভাষা সৈনিকদের নিয়ে যা আছে সবই এখানে আছে।’

শুধু ভাষার মাসেই নয়, সারাবছর ধরে এখানে যেন সাধারণ মানুষ আসেন সেই উদ্যোগ সরকারের নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট অন্যরাও।

ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুবের স্বজন বদরুন নাহার বলেন, ‘এই জাদুঘরটি বাংলা ভাষাটিকে টিকিয়ে রেখেছে। পৃথিবীর সব ভাষার সঙ্গে যেন বাংলা ভাষাও টিকে থাকে।’

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরও বড় পরিসরে জাদুঘরের কার্যক্রম চালানোর আশাবাদ তাদের।

ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা লিপি মাহবুব বলেন, ‘এটা চালানোর জন্য যে অর্থের যোগান এর সবটাই কাজী গোলাম মাহবুবের পরিবার ট্রাস্টের অধীনে চালাচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবে, একটা জায়গা বরাদ্দ হলে বড় পরিসরে কার্যক্রম চালান সম্ভব হবে।’

ভাষাসৈনিক ও তাঁদের পরিবারের দিকে সরকারের সুনজর প্রত্যাশাও করেন তারা। 

এএইচ/