ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ, অতঃপর...
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ রবিবার
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও হত্যার মূলহোতা শাহনাজ আক্তার পপি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক! পরে ডেকে এনে অপহরণ এবং হত্যা করা হয় মিঠু হোসেন (২৪) নামের যুবককে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূলহোতা নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে মূলহোতা শাহনাজ পারভীন পপি (২৮), তার স্বামী আব্দুল বাতেন (৩৫) এবং অপর সহযোগী হানিফ (৩২) সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিন বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম জানান, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মনোহরদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনা অনুসন্ধানে নামে জেলা পুলিশ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, গাজীপুরের শ্রীপুরের আব্দুল বাতেনের স্ত্রী পপি আক্তার ও তার সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমে আবদ্ধ করে। পরে ফেসবুক ইনবক্সে বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করত।
কাজী আশরাফুল আজিম বলেন, এরই অংশ হিসেবে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের মোসলিম উদ্দিনের ছেলে মিঠু হোসেনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে নরসিংদীর মনোহরদীতে নিয়ে আসে তারা। পরে সেখানে তাকে আটকে রাখে এবং মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি একটি খড়ের গাদা থেকে মিঠুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্তে নেমে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকা থেকে মূলহোতা শাহনাজ আক্তার পপি ও তার স্বামী আব্দুল বাতেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম পরিচালনা করতো।
সেইসঙ্গে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারেও পুলিশি অভিযান চলমান থাকবে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
এনএস//