নাইজেরিয়ার বিমান হামলায় নাইজারের ৭ শিশুর মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সোমবার
প্রতিবেশী দেশ নাইজেরিয়ার বিমান হামলায় নাইজারে অন্তত ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
রোববার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা।
স্থানীয়ভাবে ‘ডাকাত’ হিসেবে পরিচিত অস্ত্রধারী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী। তার অংশ হিসেবেই এই বিমানহামলা চালানো হয়েছিল বলেও জানিয়েছে দেশটি।
যদিও রোববারে নাইজারের মারাদি অঞ্চলের এই বিমান হামলায় যারা হতাহত হয়েছে, তাদের কারো সঙ্গেই সশস্ত্র কোনো গোষ্ঠীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানা গেছে।
মারাদির গভর্নর শাইবৌ আবুবাকার নাইজারের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানান, মারাদির নেশেদে গ্রামে ঘটা এই বিমান হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে ৪ শিশু, বাকি ৩ জন মারা গেছে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে।
এছাড়া আহত বাকি ৫ শিশুও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গভর্নর জানান, নাইজেরিয়া-নাইজার সীমান্তবর্তী গ্রাম মাদারৌনফা গ্রামে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর আস্তানা ধ্বংস করতেই সম্ভবত এই অভিযান চালিয়েছিল নাইজেরিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু ভুলবশত মাদারৌনফার বদলে তার পার্শ্ববর্তী গ্রাম নেদেশেতে হামলা করেছে তারা।
গত প্রায় দু্ই দশক ধরে নাইজেরিয়া ও নাইজারের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠী। বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালিয়ে হত্যা, অপহরণ, লুটপাট ও গবাদি পশু চুরির মতো অপরাধ করে চলেছে এই গোষ্ঠীগুলো। তাদের দৌরাত্ম্য-অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছেন দুই দেশের সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষ।
এই গোষ্ঠীগুলোকে চিরতরে নির্মূল করতে ২০০৮ সাল থেকে যৌথ অভিযান শুরু করেছে নাইজেরিয়া ও নাইজার।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
এসবি/