ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

পূর্ব ইউক্রেনে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়ার সামরিক যানবাহন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্বীকৃতি দেয়ার পর পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুইটি অঞ্চলে সৈন্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্টি ভ্লাদিমির পুতিন।

এক ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার সামরিক যানবাহন ইউক্রেন সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

রাশিয়া বলেছে, আলাদা হয়ে যাওয়া অঞ্চল দুইটিতে 'শান্তি রক্ষার' কাজ করবে তাদের সৈন্যরা। ২০১৪ সাল থেকেই এসব এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করছে রাশিয়া। যদিও 'শান্তি রক্ষার' এই ঘোষণাকে 'ফালতু কথা' বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তাদের অভিযোগ, রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তার দেশ কাউকে বা কোন কিছুর জন্যই ভীত নয়।

রাশিয়ার এই পদক্ষেপের জের ধরে যুক্তরাজ্যসহ একাধিক দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, ''যুক্তরাজ্য সবসময়েই সংলাপের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট পুতিনের পদক্ষেপ থেকে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তিনি সংলাপের পরিবর্তে সংঘাতের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।''

বিবিসি ব্রেকফাস্টকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রাশিয়ার সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি, কোম্পানি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যুক্তরাজ্য।

''আমি মনে করি, এটা ইউরোপের জন্য বিশেষ একটি মুহুর্ত। বিশেষ করে পশ্চিম ইউরোপের জন্য এটা একটা পরীক্ষা, যেখানে আমাদের সবাইকে একত্র হতে হবে, একসাথে কাজ করতে হবে। কারণ আমাদের সবার মনে আছে, আক্রমণকারী শাস্তি না পেলে কী ঘটতে পারে।'' বলছেন জাভিদ।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের জের ধরে আর কিছু পরের দিকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাজ্য কি জানতে পারছে আর কি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, সেটা তিনি পার্লামেন্টে তুলে ধরবেন।

তিনি বলেছেন, ''এই সংকটের শুরু থেকেই আমরা পরিষ্কার রয়েছি যে, কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা দ্বিধা করবো না।''

তিনি জানিয়েছেন, গত রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদামির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তাকে জনসন আশ্বস্ত করেছেন যে, ''আমরা আগেও যেমন বলেছি, রাশিয়ার ওপর সেভাবেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।'' সূত্র: বিবিসি

এসি