ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

গীতিকার কাওসার আহমেদ চৌধুরী মারা গেছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:১৯ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

খ্যাতিমান গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরী না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

কাওসার আহমেদ চৌধুরীর সন্তান প্রতীক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। সম্প্রতি করোনা পজিটিভ হয়ে নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হন। শেষ ১০ দিন তিনি ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জানা গেছে, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা নাগাদ আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কাওসার আহমেদ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ধানমন্ডির গ্রিন রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

কাওসার আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোক করেছেন। 

দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক পত্রিকায় রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে কাওসার আহমেদ চৌধুরী পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন।

তিনি এলআরবি, মাইলস, সামিনা চৌধুরী, লাকী আখন্দ, নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরীর মতো অনেক বিখ্যাত গায়ক ও ব্যান্ডের জন্য বেশ কয়েকটি বিখ্যাত গানের কথা লিখেছেন।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী লেখা উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে—আমায় ডেকো না, কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে, আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে মনে পড়লো তোমায়, যেখানে সীমান্ত তোমার, ফিডব্যাক ব্যান্ডের মৌসুমি ১, ২ ও এলআরবি’র রুপালি গিটার ফেলে।

কাওসার আহমেদ চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিলেটে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মোসাহেদ চৌধুরী। কাওসার আহমেদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। চারুকলায় পড়াশোনা করলেও সম্পন্ন করেননি।

চলচ্চিত্রে নির্মাণে তার আগ্রহ ছিল। একাধিক তথ্যচিত্রও তিনি নির্মাণ করেন। পেশাজীবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে চাকরি করেছেন।

এসি