ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাজধানী ছাড়ছে ইউক্রেনীয়রা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

রুশ সামরিক আগ্রাসন ও হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ শহর ছাড়তে শুরু করেছেন সেখানার বাসিন্দারা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পরেই কিয়েভের কাছে গোলা এসে পড়তে শুরু করে। এরপর থেকেই শহরটি ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছে বাসিন্দারা।

বৃহস্পতিবার মস্কোর স্থানীয় সময় ৫টা ৫৫ মিনিটে ইউক্রেইনে অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে এরইমধ্যে বেশকিছু ছবিতে কিয়েভের একটি এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির জট দেখা গেছে।

সিএনএন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে কিয়েভের নর্থ ব্রিজজুড়ে থাকা গাড়িগুলোকে পশ্চিম দিকে যেতে দেখা গেছে, পূর্ব দিকে কোনো গাড়ি যেতে দেখা যায়নি। 

এদিন সকালে কিয়েভে থাকা সিএনএনের টিম বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানায়। শব্দগুলো রাজধানীর পূর্বে বরিস্পিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিক থেকে আসছিল বলে জানিয়েছে তারা।

কিয়েভ থেকে আসা ছবিগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারিকে শহরের বাইরের দিকে যেতে দেখা গেছে। সকালে যে দিক থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে গাড়িগুলো তার বিপরীত দিকে যাচ্ছিল। পশ্চিমমুখি রাস্তায় প্রচুর গাড়ি থাকলেও বিপরীতমুখি রাস্তা ফাঁকা ছিল।

কিয়েভের অনেক এটিএম বুথের সামনে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। তারা টাকা-পয়সা (ইউক্রেনীয় মুদ্রা রিভনিয়া) নিয়ে শহর ছাড়ার চেষ্টা করছেন।

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর ওডেসা ও পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভ থেকেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।  

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার সাক্ষ্য দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, তারা বোমার হাত থেকে বাঁচতে বেজমেন্ট ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটছেন। টেলিভিশনের ফুটেজে রাস্তায় দলবেঁধে লোকজনকে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে।

কিয়েভে থাকা গার্ডিয়ানের সাংবাদিক লুক হার্ডিং জানাচ্ছেন, রাজধানীর রাস্তাগুলোতে এখন হাতেগোণা কিছু লোক দেখা যাচ্ছে, টাকা তোলার মেশিনগুলোর সামনে লোকের সারি দীর্ঘ হচ্ছে।

একজন পর্যটক বিবিসিকে বলেন, সরকার বিমান হামলার সাইরেন বাজানোর পর তাকে আবাসিক হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাই ব্যাগ নিয়ে সড়কে বেরিয়ে পড়েন তিনি।  
সূত্র: বিবিসি, সিএনএন
এসএ/