ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

প্রথম সেঞ্চুরিটাও পেয়ে যেতেন আফিফ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৫:১৯ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

মিরাজের সঙ্গে আফিফের সেই ম্যাচ জয়ী জুটির একটি মুহূর্ত

মিরাজের সঙ্গে আফিফের সেই ম্যাচ জয়ী জুটির একটি মুহূর্ত

অলরাউন্ডার হিসেবে পরিচিত হলেও বয়সভিত্তিক দল মাড়িয়ে জাতীয় দলে এসে আফিফ হোসাইন হয়ে গেলেন শুধুই ব্যাটার। যদিও ব্যাট করেন লোয়ার অর্ডারে। যেহেতু ব্যাট হাতে উপরের দিকে সুযোগও পান না, তাই নিজেকে প্রমাণের সুযোগও মেলেনা হরহামেশা। 

সুযোগসন্ধানী আফিফ তার সেই সুযোগটা পেলেন এমন এক দিনে, যেদিন তিনি না থাকলে হয়ত জয়টাই আসত না। মাত্র ৪৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে দল- এমন পরিস্থিতিতে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে কী সাবলীলভাবেই না খেলে গেলেন আফিফ। জয় নিশ্চিত হওয়ার আগপর্যন্ত। শেষদিকে তাই একটু আক্ষেপও জাগল। লক্ষ্যটা আরেকটু বড় হলে হয়ত প্রথমবার পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেলা আফিফের হয়ে যেত প্রথম শতকটাও!

১১৫ বলে ৯৩ রানের ঝলমলে অপরাজিত ইনিংসটি খেলার পর আফিফ জানালেন, বড় সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিলেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘দেশের জন্য ভালো খেলাটা সবসময় গর্বের একটা ব্যাপার। তো চেষ্টা থাকে সবসময় ভালো করার। কোনো সময় হয়, কোনো সময় হয় না। আজকে যেহেতু বড় একটা সুযোগ ছিল, এরকম বড় সুযোগ সবসময় পাওয়া যায় না। বড় সুযোগ পেয়েছি, তাই এটা কাজে লাগাতে চেয়েছি।’

তবে জয় নিয়ে না ভেবে উইকেট না হারানোর দিকেই মনোযোগ ছিল তার- যা জানিয়েছেন আগেই। পরে জানালেন, খেলার সময় পরের বল ছাড়া আর বাড়তি কিছু মাথায় রাখেননি।

আফিফ হোসাইন বলেন, ‘আমি যখন ব্যাটিং করি, আমার মাথায় এত পরিকল্পনা থাকে না। আমি চিন্তা করি- এই বল আমি কীভাবে খেলব, ঐ বল আমি কীভাবে খেলব।’

অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগের দুটি ঝলমলে ইনিংস আছে আফিফের। তবে অতীতের সব ইনিংসের চেয়ে এই ইনিংসকেই সবার চেয়ে এগিয়ে রাখলেন তিনি।

আফিফ বলেন, ‘আমার কাছে আজকের ইনিংসটা অবশ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের ইনিংসটা ছিল বিশ্বমানের একটা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে। যাদের বিপক্ষে অনেক হিসেব করই খেলতে হয়েছে। তখন পরিস্থিতি ছিল আমাকে মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে, সেই চেষ্টাই করেছি।’

এদিকে, ১১৫ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস খেলা আফিফই এখন বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ নম্বর বা তার নিচের ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা শীর্ষ ব্যাটার। আর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জয়ের নায়ক বনে যাওয়া তারই সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ। 

মিরাজ এদিন ৮ নম্বরে নেমে ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পথে টপকে যান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে ৭৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন রিয়াদ।

এনএস//