নওগাঁয় স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, হোটেল কর্মচারী গ্রেফতার
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার
নওগাঁর বদলগাছীতে এক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে কাজল মিয়া (২৬) নামে এক হোটেল কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নওগাঁ শহরের রুবির মোড় এলাকার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত কাজল মিয়া চকাবির গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে। তিনি নওগাঁ শহরের রুবির মোড় এলাকার একটি হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের চকাবির গ্রামের এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত কাজলকে এদিন বিকেলেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সময়ে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিম ওই স্কুলছাত্রীকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আত্মীয়তার সুবাদে অভিযুক্ত কাজল ভিকটিমের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত। এ সময় কাজল নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ওই স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। সম্প্রতি মেয়েটির শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে এবং গতিবিধি অস্বাভাবিক মনে হলে পরিবারের লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে সবকিছু খুলে বলে। তারপর নওগাঁ সদরের গ্রীণ ল্যাব ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করানোর পর জানা যায় মেয়েটি ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার কাজলকে বিয়ে করার জন্য চাঁপ দিলে কাজল তা অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে বুধবার রাতে কাজলকে আসামি করে ভিকটিমের মা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভিকটিমের মা বলেন, আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে লেখাপড়া করে। বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কাজল আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। তাকে বিয়ে করার জন্য বললেও তারা অস্বীকার করেছে। আমরা এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারছি না। আমি নরপশু কাজলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে অভিযুক্ত কাজলের মা আকলিমা খাতুন ছেলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী ও একটি ছেলে সন্তান আছে। আমার ছেলে এই কাজ করেনি। অন্যকারো দোষ আমার ছেলের ওপর চাপানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে কাজলকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এনএস//