ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সোলার নেট মিটারিং পদ্ধতির পথে হাবিপ্রবি

মো: তানভির আহমেদ, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) “সোলার নেট মিটারিং সিস্টেম” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: আলাউদ্দিন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার এবং সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ জামিল সুলতান। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান। 

বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের ছাদে টেকসই উন্নয়নের প্রতীকরূপ সোলার প্যানেল স্থাপন করা হচ্ছে। এই নেট মিটারিং পদ্ধতিতে গ্রাহকের এলাকায় একটি মিটার বসানো হয়। ওই মিটারে গ্রাহকের ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চলে যাবে জাতীয় গ্রিডে। মাস শেষে গ্রাহক গ্রিড থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন তা থেকে সরবরাহ করা বিদ্যুতের দাম দিয়ে বিল করা হবে। এই পদ্ধতিতে গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিলে বড় রকমের সাশ্রয় হবে। বর্তমানে ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও অধিক দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে।

এ সময় স্রেডা চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: আলাউদ্দিন বলেন, এই বিশেষ ধরণের সোলার প্যানেল স্থাপন করলে তা প্রায় ২০ বছর টেকসই হবে। তিনি বলেন, এই সোলার প্যানেল কার্বন শোষণ করে বিধায় এটি অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব। এক্ষেত্রে স্রেডা’র পক্ষ থেকে সকল কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। পাশাপাশি ইইই বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ের উপর গবেষণা করতে পারবে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, প্রতি মাসে আমাদের বিপুল অংকের টাকা বিদ্যুৎ বিল দিতে হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশাল আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ক্ষতি কিছুটা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ড. এম. এ. ওয়াজেদ ভবন ও নবনির্মিত ১০ তলা একাডেমিক ভবনে সোলার প্যানেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে স্রেডা সমীক্ষা করে তাদের রিপোর্ট আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দিয়েছে। পরবর্তীতে ইউজিসির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কাজ শুরু করা হবে।

সার্বিকভাবে সহযোগিতার জন্য তিনি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এসি