আলোচনায় বসতে রাজি রাশিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪১ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৬ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
অবশেষে কিয়েভ দখলের পূর্ব মুহুর্তে আলোচনায় বসার বার্তা দিল রাশিয়া। তৃতীয় কোনো দেশে আলোচনায় বসতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।
গত দু’দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের একশোর বেশি সেনা মারা গিয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষও প্রাণ হারিয়েছে। ছারখার হয়ে গিয়েছে শান্ত দেশ ইউক্রেন। যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার সুযোগ দিল মস্কো।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তার আগে ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র সংবরণ করতে হবে। পাল্টা প্রতিরোধ করা চলবে না।
রাশিয়ার এই হঠাৎ মত পরিবর্তনের কারণ কী? আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের সেনা সঙ্ঘাত শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াচ্ছিল আন্তর্জাতিক মহল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ ঘোষণার পর রাশিয়াকে দেওয়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অর্থ সাহায্য এবং অনুদান বন্ধ করে দেয় বহু দেশ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চাপে পড়েই ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার সুযোগ দিয়েছে মস্কো।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকেই ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করে দেয় রুশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের যুদ্ধেই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেয় রুশ ফৌজ। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পুতিন বাহিনী পৌঁছে যায় রাজধানী কিভের দোরগোরায়। যেখানে এখনও রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি।
এরপর শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা টুইট করে ওই ঘোষণার কথা জানায়। যদিও এ ব্যাপারে পুতিনের প্রতিক্রিয়া বা ইউক্রেনের জবাব পাওয়া যায়নি এখনও।
এসি