ধর্ষণ ও হামলার বিচার দাবিতে অগ্নিশর্মা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৮:৫২ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শুক্রবার
বশেমুরবিপ্রবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
দ্বিতীয় দিনেও উত্তাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ক্যাম্পাস ও এর আশাপাশের এলাকা। শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক অতর্কিত হামলার বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রায় পাঁচ-শতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে অবরোধকারী শিক্ষার্থীসহ উপাচার্য ও শিক্ষকদের ওপর ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার দাবি করেন।
আন্দোলনরত ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বলেন, আমাদের বোনের ধর্ষণের বিচারের দাবি, গতকাল আমাদের উপর যে অতর্কিত হামলা করা হয়েছে তার প্রতিবাদ এবং আমাদের শিক্ষক ও ভিসি স্যারকে শারীরিকভাবে নিপীড়ন ও তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদসহ সবকিছুর বিচার দাবিতে আজকে আমরা এখানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা বশেমুরবিপ্রবি পরিবারের সকলের নিরাপত্তা ও সুশিক্ষার সঠিক পরিবেশ চাই।
ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, এ ঘটনায় আমরা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ও স্থানীয় জনপ্রশাসন থেকে আমাদের নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যেই আমরা এখানে বসেছি।
এরপর বেলা দেড়টায় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, গোপালগঞ্জের সকল স্তরের জনগণের উপর থেকে আস্থা হারানোর ফলে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ না আসলে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী বশেমুরবিপ্রবি থেকে ছাত্রত্ব ও শিক্ষকতা ছেড়ে চলে যাবেন।
পরে, সন্ধ্যা ৭টায় চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে ধর্ষক ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মেয়েদের অংশগ্রহণে মশাল মিছিল কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, এদিন বেলা ৩টায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবিতে বিচারপ্রার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বশেমুরবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। বিচারের দাবিতে পরদিন ভোর থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ধর্ষকদের বিচার চাওয়ার জেরে স্থানীয় ও ছাত্রলীগ কর্তৃক দুই দফা হামলার শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এনএস//