সতর্কবার্তা দিয়েও যে কারণে নিশ্চুপ যুক্তরাষ্ট্র
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১২ এএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার
বিদ্যমান ইউক্রেন সংকটে কেবল মাত্র কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনে হামলা হলে তা যে ভয়াবহ হবে বারবারই এই বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছিল বাইডেন প্রশাসন। সেই সতর্ক বার্তা সঠিক বলেও প্রমাণিত হয়েছে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘাতে মার্কিন সেনারা কখনোই জড়াবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে বৃহস্পতিবার পূর্ণশক্তিতে সামরিক অভিযান শুরুর পর বাইডেন এ কথা জানান।
প্রথম কথা হলো, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ নয়। মার্কিন সীমান্তে ইউক্রেন অবস্থিত নয়। এমনকি ইউক্রেনে কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও নেই। দেশটিতে কৌশলগত তেলের মজুদ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদারও নয় দেশটি।
সামরিক হস্তক্ষেপে খুব একটা উৎসাহী নন বাইডেন। তবে বাইডেনের এই সমর বিদ্বেষ একদিনে হয়নি। নব্বইয়ের দশকে বলকানে জাতিগত সংঘাত মোকাবেলায় মার্কিন সামরিক পদক্ষেপকে সমর্থন করেছিলেন। ২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণের পক্ষে ভোটও দিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি মার্কিন সামরিক শক্তি ব্যবহারে আরও সতর্ক হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি এপি-এনওআরসি জরিপে দেখা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ছোট ভূমিকা পালন করা উচিত কিংবা একেবারেই সংঘাতে জড়ানো উচিত নয় বলে মত দিয়েছেন ৭২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। বরং অধিকাংশ মার্কিনীরাই মুদ্রাস্ফীতির মতো অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়েই বেশি চিন্তিত।
এসএ/