ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

লিলিয়াম ফুল চাষে সফল গদখালির চাষিরা (ভিডিও)

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:১১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

নেদারল্যান্ডের সুগন্ধি লিলিয়াম ফুলের বাণিজ্যিক চাষে সফল যশোরের গদখালির চাষিরা। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মিলনমেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ এখন ফুলের এই রাজধানীতে।

বর্ণবৈচিত্র্য ও দীর্ঘ স্থায়িত্বে চতুর্থ স্থান পাওয়া কার্টফ্লাওয়ার লিলিয়ামের সমাদর বিশ্বজুড়ে। মূল আবাসস্থল চীন, জাপান, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ড ও ভারতসহ শীতপ্রধান দেশগুলো। বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের প্রথম দিকে সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপী, লাল ও বেগুনী বর্ণে তুলে ধরে নিজের সৌন্দর্য্যকে। 

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা বিভাগ দুই বছরের গবেষণা শেষে ২০১৭ সালে দেশের আবহাওয়া উপযোগী দুটি জাত উদ্ভাবনের পর চাষ শুরু হয় বাংলাদেশও। 

উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান গবেষক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারজানা সিনথান বলেন, “বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফুল বিভাগের বিজ্ঞানী এবং আমার নেতৃত্বে এই ফুলটির উপর গবেষণা শুরু করি। ২০১৭ সালে এসে খুব সাফল্যজনকভাবে ফুলটি উৎপাদন করতে সক্ষম হই। দু’ধরনের লিলিয়াম পাওয়া যায়, এশিয়াটিক এবং অরিয়ান্টা। বাংলাদেশে এই দুটিরই চাহিদা রয়েছে।”

গদখালিতে ফুলটির উৎপাদন শুরু বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিমের হাত দিয়ে। আর দুই শতক জমিতে বাণিজ্যিক চাষের সূচনা করেই বাজিমাত করেছেন ঝিকরগাছার পানিসারা গ্রামের ফুলচাষি আজিজুর রহমান।

লিলিয়াম চাষি আজিজুর রহমান ও সাজেদা বেগম বলেন, “আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যে ফুলটি ফুটে। এই লিলিয়ামটা অন্য ফুলের চেয়ে ভিন্ন। এটা উৎপাদনে মধ্য ধরনের খরচ কিন্তু লাভ বেশি।”

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, “এই ধরনের গবেষণার মধ্য দিয়ে যদি ফুলের বীজ-চারা উৎপাদন হয় এবং গবেষণা যদি দ্রুত বাস্তবায়ন হয় তাহলে আমাদের ফুল সেক্টরের জন্য একটা সুখবর বয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।”

দূর-দূরান্ত থেকে দেখতে আসা মানুষও মুগ্ধ লিলিয়ামের সৌন্দর্যে্য।

এলাকাবাসী জানান, “লিলিয়ামগুলো দেখে খুবই ভাল লেগেছে। অনেক ফুল দেখেছি কিন্তু এই ফুলটাই বেশি সুন্দর লেগেছে।”

আমদানি করা প্রতিটি লিলিয়ামের দাম তিনশ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ টাকা। আর এখানে চাষ করে সেই ফুলই কেনা যাচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। তাই আগামীতে চাষ বাড়তে থাকবে বলে আশাবাদী ফুলচাষিরা।

এএইচ/