ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউক্রেনের ৮শ সামরিক স্থাপনা ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১০:০১ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ শনিবার

ইউক্রেনে হামলার একটি চিত্র

ইউক্রেনে হামলার একটি চিত্র

ইউক্রেনের ৮ শতাধিক সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়ার দাবি করেছে রাশিয়া। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আইগর কোনাশেনকভ বলেন, ১৪টি সামরিক বিমানঘাঁটি, ১৯টি কমান্ড পোস্ট, ২৪টি এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ৪৮টি রাডার স্টেশন ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৮টি ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর বোটেও আঘাত হানা হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াসখো জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় এ পর্যন্ত ৩ শিশুসহ ১৯৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে চলমান লড়াইয়ে এক হাজার ১১৫ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন বলেও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে রুশ আগ্রাসনে বিধ্বস্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লোদোমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনই। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক টুইটবার্তায় তিনি এমনই দাবি করেন।

দেশটিতে চলমান রাশিয়ার আগ্রাসনের পর কিয়েভে দুপক্ষের তুমুল লড়াই চলছে। এ সময়ে সামাজিকমাধ্যমে ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে দেশের হালনাগাদ অবস্থার বর্ণনা দিচ্ছেন তিনি।

এর আগে ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেন, ভুয়া খবরে বিশ্বাস করবেন না। আমি এখানে। আমরা অস্ত্র সমর্পন করছি না। আমরা দেশকে রক্ষা করব। কারণ, আমাদের সত্য হচ্ছে আমাদের ভূমি, আমাদের শিশুরা। আমরা সবাইকে রক্ষা করব।

সেইসঙ্গে রাতের বেলা তাকে গ্রেফতার করে তার জায়গায় রাশিয়ার নিজের পছন্দের নেতাকে বসিয়ে দেবার রুশ পরিকল্পনা তার দেশের সেনাবাহিনী বানচাল করে দিয়েছে বলেও দাবি করেন ইউক্রেনীয় নেতা।

ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন,  “তাদের পরিকল্পনা আমরা ভেস্তে দিয়েছি”। সেইসঙ্গে রাজধানী কিয়েভ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর এখনও তার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই জানান জেলেনস্কি।

ঐ ভিডিও বার্তায় সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর চাপ তৈরির জন্য তিনি রুশ নাগরিকদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তার বাহিনী রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

ভিন্ন একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রনের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে নতুন কূটনৈতিক দুয়ার খুলে গেছে। আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম আসছে। যুদ্ধবিরোধী জোট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

এর আগে ম্যাক্রন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও পরিস্থিতিকে ঘিরে সংকটে খাদ্য সরবরাহে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রভাব পড়বে। 

ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সকালে আমি কেবল আপনাদের একটি কথাই বলতে পারি, তা হচ্ছে, যুদ্ধ স্থায়ী হচ্ছে। কাজেই তার পরিণতিও হবে ভয়াবহ ও স্থায়ী।

জেলেনস্কি বলেন, “এখানে লড়াই চলছে। আমার দরকার অস্ত্রশস্ত্র, চলে যাবার পথ নয়।” একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই খবর দেয় বার্তা সংস্থা এপি।

এনএস//