ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া: ইউক্রেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩১ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:৪১ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পঞ্চম দিনে নিষিদ্ধ ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এমন দাবি করা হয়েছে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে। একই অভিযোগ তুলে এর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জাতিসংঘে নিযুক্ত ইউক্রেনের দূত ওকসানা মারকারোভা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘জেনেভা কনভেনশনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরও ইউক্রেনে আক্রমণ চালাতে রাশিয়া ভ্যাকুয়াম বোমা ব্যবহার করেছে।’ রুশ বাহিনী ইউক্রেনের মাটিতে বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে চাইছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভ্যাকুয়াম বোমা বা এই ধরণের থার্মোবারিক অস্ত্র বিস্ফোরণের মাধ্যমে সৃষ্ট তরঙ্গ প্রচলিত অন্য বিস্ফোরকের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই অস্ত্রে সাধারণত উচ্চ-তাপমাত্রার অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়, যা চাপ তরঙ্গ তৈরি করে বায়ু থেকে অক্সিজেন টেনে নেয়।
এই বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে প্রচলিত বোমার তুলনায় শক্তিশালী শকওয়েভ তৈরি হয়। আর তা এতটাই প্রচণ্ড যে এটি মানবদেহকে বাষ্পে পরিণত করতে পারে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রুশ বাহিনী ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের একটি প্রিস্কুলে আশ্রয় নেওয়া বেসামরিক মানুষের ওপরও রুশ বাহিনী বোমা ফেলেছে বলে অভিযোগ অ্যামনেস্টির।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, থার্মোবারিক অস্ত্র ব্যবহার করার খবর তিনি সংবাদমাধ্যমে দেখেছেন, তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “যদি এটি সত্য হয়, তাহলে সেটা সম্ভবত যুদ্ধাপরাধ হবে।”
সাকি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বিষয়টি যাচাই করে দেখবে এবং প্রসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এ নিয়ে কথা বলবে।
এসবি/