ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

রাশিয়া-ইউক্রেন ‘যুদ্ধে’ প্রাণ গেল ভারতীয় শিক্ষার্থীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:২০ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:২৫ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

খারকিভের একটি দৃশ্য- ছবি বিবিসি।

খারকিভের একটি দৃশ্য- ছবি বিবিসি।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে চলছে তুমুল লড়াই। এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভে গোলাবর্ষণে মৃত্যু হল এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর। আপাতত ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের পরিচয় প্রকাশ করা না হলেও, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ২১ বছরের ওই শিক্ষার্থী কর্নাটকের হাভেরি জেলার বাসিন্দা বলেই জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক টুইট বার্তায় জানান, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি যে, আজ সকালে খারকিভে গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। শকার্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’ 

একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, 'খারকিভ-সহ ইউক্রেনের আরও যে সব স্থানে সংঘাত হচ্ছে, সেখানকার ভারতীয়দেরকে দ্রুত সুরক্ষিতভাবে যেতে দেয়ার দাবি আরও জোরালোভাবে জানানোর জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের দূতকে তলব করেছেন পররাষ্ট্র সচিব। রাশিয়া এবং ইউক্রেনে আমাদের রাষ্ট্রদূতরাও একই পদক্ষেপ নিয়েছেন।'

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে সরকারিভাবে জানানো এই ঘোষণার কিছু আগেই খারকিভে থাকা একাধিক ভারতীয় শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে খবরটি পোস্ট করেছিলেন। 

একটি মহলের দাবি, ওই শিক্ষার্থী আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা। যখন খাবার সংগ্রহ করতে বাইরে গিয়েছিলেন, সেইসময়ই গোলাবর্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে, খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে গোলাবর্ষণের ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে বহু সংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত আছেন। 

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে খারকিভে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। তারপরেও কিয়েভের উত্তরে এবং খারকিভ ও চেরনিহিভের আশেপাশে বোমা বর্ষণের মাত্রা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

তারইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনস্থ ভারতীয় দূতাবাসের তরফে সকল ভারতীয়কে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার্থী-সহ সকল ভারতীয়দের জরুরিভিত্তিতে আজই কিয়েভ ছাড়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ট্রেন বা যে গণপরিবহণই পাওয়া যাচ্ছে, (তাতে চেপেই কিয়েভ ছাড়ুন)।’ 

ইতোমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে তাঁর দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য একাধিকবার বৈঠক করেছেন। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও পাঠানো হচ্ছে। 

তারই মধ্যে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য বিমান বাহিনীকেও নির্দেশ দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

এনএস//