আইনজীবী সমিতির নির্বাচন
‘মনোনয়নপত্র’ বোর্ডে উপস্থাপন না হওয়ার অভিযোগ সম্পাদক প্রার্থীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩৩ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৮:৪২ পিএম, ১ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দলীয় বোর্ডে উপস্থাপন না হওয়ার অভিযোগ আনলেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
নাহিদ সুলতানা অভিযোগ করেন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়া মেনে জমা দেওয়া হলেও সেই মনোনয়নপত্র দলীয় বোর্ডে উপস্থাপন করা হয়নি।
মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরও মনোনয়ন বোর্ডে জমা না হওয়ার বিষয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বরাবর চিঠিও দিয়েছেন।
সেই চিঠিতে অ্যাডভোকেট যুথি লিখেছেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ২০২২-২০২৩ সনের বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের পক্ষে সম্পাদক হিসেবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দলীয় মনোনয়নপত্র কেনেন তিনি। পরে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তা জমা দেন।
চিঠিতে তিনি জানান, নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানতে পারি, আমার জমাকৃত নমিনেশন পেপার, নমিনেশন বোর্ডে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিতর্কিতভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। যা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির পরিপন্থী বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন।
পাঠানো চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিষয়টি সুবিবেচনাপূর্বক তদন্ত করে নমিনেশন পদ্ধতি বিতর্কিত না করে গ্রহণযোগ্য করতে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার পরও মনোনয়ন বোর্ডে নাম উপস্থাপন না করার প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট যুথি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হলে বিভিন্ন পদ অনুযায়ী লিস্ট করা হয় এবং মনোনয়ন বোর্ড সদস্যদের কাছে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই লিস্টে সম্পাদক প্রার্থীদের নামের তালিকার মধ্যে আমার নামটি কলম দিয়ে কাটা ছিল। আমার নাম কেটে দেয়ায় আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বোর্ড নাম নেয়ার পর যদি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নাম বাদ দেয়া হতো তাহলে কোনো কথা থাকতো না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোনও প্রকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দুরভিসন্ধিমূলক ও বিতর্কিতভাবে আমার মনোনয়নপত্র দলীয় মনোনয়ন বোর্ডে জমা না দিয়ে আমার নাম বাদ দেওয়া হয়।
মনোনয়নপত্র বোর্ডে নাম উপস্থাপন না করার কারণ জানিয়ে অ্যাডভোকেট যুথি জানান, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সঙ্গে আমি দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। এর আগে ২০০৮ সালে আমি নির্বাচিত ট্রেজারার ছিলাম। গোটা এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি ৩২ বছর ধরে জড়িত আছি। এদিকে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা আমার পক্ষেই কথা বলেছে অথচ আমার নাম কেটে দেওয়া হলো। যদি আমার নাম আসতো, তাহলে কেউ এই পদ পেতো না। তাই এমনটা করা হয়েছে। আমি আসলে জানতে চেয়েছি- আমার মনোনয়ন পত্র বাদ দেওয়া হলো কেন। এটা জানা আমার অধিকার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ চার বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে। সংগঠনটির সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনের দায়িত্ব ছেড়েছেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদে স্থবিরতা বিরাজ করছে। একটি বিশেষ মহল সংগঠনটি অগণতান্ত্রিক উপায়ে নিজের মতো পরিচালনা করছে। এটি গণতান্ত্রিক সংগঠন। গণতান্ত্রিক ধারায়ই সংগঠনটিকে চালাতে হবে।’
এসি