ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

মা-মেয়ে হত্যা: আরো কয়েকটি ফ্ল্যাটে বেল চেপেছিলেন জুবায়ের

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৩:৪১ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার

ঘাতক জুবায়ের

ঘাতক জুবায়ের

নারায়ণগঞ্জের ডাইলপট্টি এলাকায় মা-মেয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের আগে ওই ভবনের নিচ থেকে উপর তলা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাটের বেল চেপেছিলেন। তবে কেউ দরজা খোলেননি বলে জানিয়েছেন ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা।

এদিকে গ্রেপ্তার জুবায়েরের ব্যাগ থেকে স্বর্ণের চেইন এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চারটি ছুরি ও কয়েকটি হ্যান্ড গ্লাভস জব্দ করেছে পুলিশ।

ভবনের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই ভবনের নিচতলা থেকে উপর তলার পর্যন্ত কয়েকটি ফ্ল্যাটের বেল চেপেছিলেন জুবায়ের নামের ওই যুবক। কিন্তু কেউ দরজা খোলেননি। এর আগে ওই যুবককে কখনও দেখেননি বলেও জানান তারা।

মঙ্গলবার বিকালে হত্যাকাণ্ডের আগে নিহত ঋতু চক্রবর্তীর বাবা রাম প্রসাদের কাছে ফোনে টাকা ও স্বর্ণ কোথায় আছে জানতে চান জুবায়ের।

রাম প্রসাদ বলেন, “পৌনে তিনটার দিকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন দিয়েছিলাম, তখন ফোন ধরে ওই যুবক। সে আমার কাছে জানতে চায় টাকা ও স্বর্ণ কোথায় রেখেছি। আমি তার পরিচয় জানতে চাইলে সে ফোন কেটে দেয়। পরে বাসার সামনে গিয়ে দেখি আশাপাশের লোকজন মূল গেট বন্ধ করে রেখেছে, ভেতরে পুলিশ।”

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (তদন্ত) আমির খশরু জানান, আটক জুবায়েরকে নিহতের পরিবারের কেউ চেনেন না। ওই পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয়ও নেই। হঠাৎ করে ওই বাড়িতে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা করে সে। 

ঘটনার পর জুবায়েরের ব্যাগ থেকে নিহত ঋতুর গলার স্বর্ণের চেইন, চারটি ছুরি ও কয়েকটি হ্যান্ড গ্লাভস জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রেফতার জুবায়ের নগরীর পাইকপাড়া এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।

আলাউদ্দিন মিয়া জানান, জুবায়ের ২০১৩ সালে এইচএসসি পাস করার পর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় পড়ালেখা চালাতে পারেননি। গত এক-দেড় মাস ধরে তার মধ্যে অদ্ভুত আচরণ দেখা যায় বলে জানান তিনি।

এদিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়েকে হত্যার বিষয়টি যুবক জুবায়ের স্বীকার করেছেন বলে জানান সদর মডেল থানার পরির্দশক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম।
 
জুবায়ের ছাড়া আর কেউ হত্যায় জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এএইচ/