ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

শিল্পবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চান রোকেয়া প্রাচী-দোদুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর ২০২২-২০২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৯ মার্চ।

এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন প্রযোজক-নির্মাতা সাজ্জাদ হোসেন দোদুল।

এই নির্বাচনে কোনো প্যানেল না থাকলেও সমমনা প্রার্থীদের একাংশ জোট হয়ে নির্বাচন করছেন। রোকেয়া প্রাচী ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের নেতৃত্বে মোট ২৭ জন প্রার্থী এক হয়ে মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে একটি পরিচিতি সভা ও প্রেস কনফারেন্স করেছে। এসময় সমমনা প্রার্থীরা নিজেদের পরিচয় তুলে ধরে ভোট চান এবং টেলিপ্যাবের উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।

রোকেয়া প্রাচী বলেন, শিল্পবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই। আমাদের এই জায়গাটি (টেলিভিশন নাটক ইন্ডাস্ট্রি) বর্তমানে সেভাবে ভালো নেই। তাই আমরা এগিয়ে এসেছি পরিবর্তনের জন্য। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে, তাই টেলিপ্যাবও উন্নয়নের মহাসাগরে এগিয়ে নিতে চাই। প্রযোজকের মুখে হাসি ফুটিয়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।

প্রযোজকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রযোজক বাঁচলে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচবে, আমরা তাদের কথা বলতে চাই, তাদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এই ইন্ডাস্ট্রির বয়স তো কম হয়নি, কিন্তু আমাদের প্রযোজকদের অর্থের স্বার্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি এতোদিনেও। আমরা সংগঠনের পক্ষে, প্রযোজকদের পক্ষে কাজ করতে চাই। কেউ কেউ একা এগিয়ে যাবে, আর অন্য সকলে হতাশ হয়ে হারিয়ে যাবে, তা হবে না। আমরা মরি বাঁচি একসাথে। সবাই মিলেমিশে সুখে দুখে এগিয়ে যাবো।

প্রযোজকদের লগ্নি ফেরত এবং তাদের সম্মান রক্ষায় কাজ করবেন জানিয়ে রোকেয়া প্রাচী আরও বলেন, দেশে বর্তমানে অনেক টিভি চ্যানেল হলেও আমাদের কাজের পরিধি বাড়েনি বরং কমেছে। সেই জায়গার পরিবর্তন করতে চাই। অনেক প্রযোজক কাজ করতে পারছেন না। তাদের কাজের জায়গা তৈরি করতে চাই। দিনশেষে প্রযোজকদের মুখে হাসি ফাটাবো।

সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, দেশে অনেক চ্যানেল থাকা সত্ত্বেও জায়গাটা ভালো নেই। আমরা নির্বাচিত হলে নতুনভাবে সবকিছু ঢেলে সাজাবো। আমরা যে ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার আগে কেউ দেয়নি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, এত বছর যে কাজ হয়নি, তা আমরা করতে চাই। এরই মধ্যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ২০টি সমস্যার কথা তথ্য মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। আমরা কাজের পরিবেশ আরও বড় করব। আমাদের টার্গেট প্রযোজকদের বাচাঁনো এবং কিভাবে মান উন্নয়ন করা যায়। প্রতিযোগিতার বাজারে আমরা ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছি।

এবারের নির্বাচনে ২৭টি পদে ৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সদস্য পদে নির্বাচন করছেন। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মনোয়ার হোসেন পাঠান ও রোকেয়া প্রাচী। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাজু মুনতাসির ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

এসি