ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হঠাৎ রণক্ষেত্র এফডিসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১০:০৮ পিএম, ২ মার্চ ২০২২ বুধবার

হঠাৎ পুলিশ বাহিনীর আগমনে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এফডিসি। নিপুণ-জায়েদ খানের অনুসারীদের পুলিশ সদস্যরা লাঠি নিয়ে ধাওয়া দিলে মুহুর্তেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এফডিসিতে উত্তেজনা তৈরি হয়ে যায়।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় আজ হাই কোর্ট থেকে রায় পাওয়ার পর এফডিসিতে ছুটে আসেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। তার দায়িত্ব বুঝে নিতে চাইলেও তিনি শিল্পী সমিতিতে প্রবেশ করতে পারেননি। সমিতিতে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ সময় জায়েদ খানের অনুসারীরা এফডিসিতে ভিড় জমাতে থাকে, তাকে অনেকে শুভেচ্ছা জানায়। অন্যদিকে নিপুণ সমর্থকরাও অবস্থান নেয়। ফলে টান টান উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে।

এ অবস্থায় সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টার দিকে এফডিসিতে হঠাৎ করে আগমন ঘটে পুলিশের। ঝটিকা অভিযানে পুলিশের লাঠি খেয়ে দু’পক্ষের সমর্থকেরা দিগ্বিদিক দৌঁড়াতে থাকে। এ সময় বহিরাগতরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।  

শিল্পী সমিতির একজন সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর ধরে এফডিসিতে আছি, এমন ঘটনা আর দেখি নাই। পুলিশের এমন লাঠি পেটা বা ধাওয়ার ঘটনা বিস্ময়কর ব্যাপার।’ 

এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি কাজী আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে এফডিসিতে এসেছিলাম। কারণ এটা কেপিআইভুক্ত এলাকা। মাঝে মাঝে এমন অভিযান আমাদের চলে। তবে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে এফডিসিতে এ অভিযান ছিল না।’

এদিকে অজ্ঞাত লোকদের সমিতির তালা ভাঙার মধ্য দিয়ে জায়েদ খান রাত ৮টার দিকে সমিতিতে প্রবেশ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন  সুচরিতা ও অরুণা বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।  

সমিতির চেয়ারে বসে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি সমিতির চেয়ারে জোর করে বসিনি। শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আদালত থেকেও রায় পেয়েছি। তবুও আমাকে বারবার চাপে রাখার জন্য হয়রানি করা হচ্ছে। আমাকেই টার্গেট করা হচ্ছে।’

এসি