হুমকির সম্মুখীন বন্যপ্রাণী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ৩ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার
পঞ্চাশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্বে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গেছে। বনাঞ্চল ধ্বংস, বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ ধরা এবং বনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো কারণে হু হু করে কমছে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। এভাবে বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী। এছাড়াও বাংলাদেশে অন্তত ২১৯টি প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিপন্ন। এইতালিকার মধ্যে আছে উভচর সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণী।
বনবিভাগের এক হিসাবে ৪২ প্রজাতির উভচরের মধ্যে ৮টি, ১৫৮টি প্রজাতির সরীসৃপের মধ্যে ৬৩টি, ৭৩৬টি প্রজাতির পাখির মধ্যে ৪৭টি, ১২৪টি স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে ৪৩টির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
৩ মার্চ ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বনভবনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
এর আগে ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত বিবরণীতে, বন্যপ্রাণীদের অপরিহার্য মূল্য এবং বিভিন্ন অবদানের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। এতে পরিবেশগত, জিনতাত্ত্বিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাবিষয়ক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক এবং নান্দনিক বিষয়ের সাথে যুগসই উন্নয়ন এবং মানবকল্যাণের দিকে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকূলের প্রতি গণসচেতনতা গড়ে তোলা, এবং সিআইটিইএস-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকার করা বলা হয় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যাতে বন্য প্রজাতিদের টিকে থাকতে হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসএ/