ভারতেই আছে এক ‘পাকিস্তান’! কীভাবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৬ এএম, ৩ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার
দেশভাগ। আর তার বিনিময়েই স্বাধীনতা। একদিকে ভারতবর্ষ, অন্যদিকে জন্ম হয়েছিল পাকিস্তানের। সেই পাকিস্তান থেকে আবার জন্ম হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের। এ ইতিহাস তো আমাদের সকলেরই জানা।
তবে এখন যদি বলা হয় ভারতবর্ষেই আছে এক পাকিস্তান, তাহলে অবাক হবেন তো! তা অবাক হওয়ার মতো কথাই বটে! তবে সত্যি যে তা আছে, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আসুন আজ শুনে নিই এই অদ্ভুত পাকিস্তানের কথা।
দেশ নয়, ছোট্ট একটা গ্রাম। নেহাতই ছাপোষা। আলাদা করে তার এমন বৈশিষ্ট নেই যে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নেবে। কিন্তু নেই নেই করেও এমন একটা জিনিস এই গ্রামের সঙ্গে জুড়ে আছে, যা সকলকে যারপনাই চমকে দেয়।
গ্রামটার নামই যে বেশ অদ্ভুত! নাম তার পাকিস্তান। খটকা লাগল! না না, তার কোনও কারণ নেই। সত্যিই ভারতবর্ষের একটা গ্রামের নাম পাকিস্তান।
বিহারের পূর্ণিয়া জেলার এই গ্রাম নিয়ে বরাবরই কৌতূহল ভারতবাসীর।
বিহারের যে মূল শহর, তার থেকে অনেকটা দূরে এই গ্রাম। তেমন বড়সড় কিছু নয়। গ্রামবাসীর সংখ্যাও বেশ অল্পই। মূলত চাষবাসই তাদের পেশা।
সেই ১৯৪৭ সালে, এ গ্রামের বহু মানুষ চলে গিয়েছিলেন অন্যত্র। দেশভাগের কারণেই ভিটেমাটি ছেড়ে তাদের চলে যেতে হয়েছিল। বাস্তুভিটে ছেড়ে সেই চলে যাওয়া মানুষদের স্মৃতিতেই একসময় নাকি ওই গ্রামের নামকরণ হয়েছিল পাকিস্তান।
যারা সেদিন ঘর ছেড়েছিলেন তারা সকলেই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তবে বর্তমানে ওই গ্রামের অধিবাসীরা আর কেউই মুসলমান নন। কিন্তু পুরনো নামটা থেকেই গেছে।
গ্রামের নাম অনুসারে এখনও পাশাপাশি গ্রামের মানুষরা ওই গ্রামের অধিবাসীদের পাকিস্তানি বলে অভিহিত করেন। ভারতে বসে পাকিস্তানি বলে চিহ্নিত হওয়ায় তাই এখন অস্বস্তিতে ওই গ্রামের বাসিন্দারা।
এখানেই অবশ্য শেষ নয়, আরও সমস্যা আছে। গ্রামের এই নামের কারণে নাকি ওই গ্রামের ছেলে-মেয়েদের বিয়েও ভেস্তে যায় হামেশাই। পড়শি গ্রামের কেউই নাকি পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চান না। এদিকে আসল পাকিস্তানের সঙ্গে ওই গ্রামের ছাপোষা মানুষের কোনও যোগাযোগই নেই।
সব মিলিয়ে এককালে যা ছিল স্মৃতি, এখন তাই-ই হয়েছে গ্রামবাসীদের মাথাব্যথার কারণ। বাধ্য হয়েই তারা এখন গ্রামের নাম পালটানোর কথা চিন্তা করছেন। সেইমতো প্রশাসনের কাছে দরবারও করা হয়। তবে নাম যে পালটেছে এমন খবর এখনও মেলেনি এখনও।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি/