পিঠা-পুলির বদলে বোমা! যুদ্ধে বিবর্ণ ইউক্রেনের রঙিন উৎসব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ৩ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার
শীতকে বিদায় জানিয়ে বসন্তকে স্বাগত জানাতে বহু যুগ ধরে ম্যাসলেন্টিসা উৎসব চলে আসছে ইউক্রেনে। এই উৎসবের রীতি রয়েছে রাশিয়াতেও। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে দুই দেশে আর এই উৎসব পালনের পরিস্থিতি নেই।
"দু দেশের যুগ্ধ কেড়ে নিল সাধারণ মানুষের এক সপ্তাহের আনন্দ।
এ বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এই উৎসব হওয়ার কথা ছিল। উৎসবের নাম ম্যাসলেন্টিসা। যার বাংলা মানে দাঁড়ায় প্যানকেকের সপ্তাহ। ঘরে ঘরে এ সময় তৈরি হয় অফুরন্ত প্যানকেক। নানা রকম পিঠাপুলি।
এক সপ্তাহ ধরে চলে প্যানকেকের উৎসব
এই উৎসব যতটা ধার্ষিক অনুষ্ঠান ততটাই লোক উৎসবও বটে। খ্রীষ্টধর্ম অনুযায়ী শীতের শেষে পুরনোকে সরিয়ে নতুন দুনিয়াকে স্বাগত জানানো এবং উর্বরতার উদযাপনই ম্যাসলেন্টিসা।
রাশিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশের মতো নানা দেশে এই উৎসবের সময়ে নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একসঙ্গে বরফের দুর্গ বানানো, সনাতনী পোশাকে বিভিন্ন মেলায় ঘোরা, পিঠা তৈরির প্রতিযোগিতা এবং আরও নানা রকম ছোট ছোট খেলার আয়োজন করা এ সময়ে। ঘরে ঘরে তৈরি হয় প্যানকেক।
এক সপ্তাহের শেষের রবিরাবকে বলে ‘সানডে অব ফরগিভনেস’। এ দিন সকলেরই আত্মীয়স্বজনের বাড়ি গিয়ে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন এবং অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। এ বছর অবশ্য রাশিয়া-ইউক্রেনে গোটা ছবিটাই আলাদা।
কিয়েভ শহরে রুশ মিসাইলে ধ্বংস হওয়া এক বহুতল
কোনও রকম হাসি-ঠাট্টা-সাজগোজ-খাওয়াদাওয়া নয়, দু’দেশই ব্যস্ত যুদ্ধে। সাধারণ মানুষ ক্ষমাপ্রার্থনা না করে বেঁচে থাকার প্রার্থনা জানাচ্ছেন।
যুদ্ধের শেষ কোথায়, কী ভাবে এখনই তা বলা মুশকিল। কিন্তু রঙিন পরবের আনন্দ যে মিলিয়ে গিয়েছে ধূসর ধ্বংসস্তূপে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।