ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

নাসুম-শরিফুলেই ধরাশায়ী আফগানিস্তান

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ০৬:৩৫ পিএম, ৩ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

মাত্র ১০ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নাসুমকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ছবি- ক্রিকইনফো।

মাত্র ১০ রানে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা নাসুমকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ছবি- ক্রিকইনফো।

ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। মিরপুরে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে লিটনের ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর করার পর নাসুম-শরিফুলের বোলিং তোপে আফগানিস্তানকে মাত্র ৯৪ রানে ধরাশায়ী করে ৬১ রানের বড় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ১৫৫ রান জড়ো করে স্বাগতিক দল। জবাব দিতে নেমে টাইগার বোলারদের, বিশেষ করে নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও সাকিবের সামনে রীতিমত অসহায় হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। ১৭.৪ ওভারেই গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৪ রান তুলতেই।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে নজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাট থেকে। এছাড়া আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২০ ও মোহাম্মদ নবী ১৬ রান করেন। মূলত নাসুমের স্পিন ভেল্কিতেই শুরুতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আফগানরা। পরে আফগানদের লেজ গুটিয়ে দেন শরিফুল। 

নাসুম এদিন একাই মাত্র ১০ রানে ৪টি উইকেট নেন। যা তাঁর ক্যারিয়ার সেরা বোলিং রেকর্ড। আর শরিফুল ৩টি উইকেট নেন ২৯ রানের বিনিময়ে। যা তারও ক্যারিয়ার সেরা। মাঝে অবশ্য সাকিব ২টি উইকেট ও মুস্তাফিজ একটি উইকেট দখল করেন। 

তবে, এদিন দুটি উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান পূরণ করেছেন তাঁর সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ৪০০তম উইকেট শিকার। তবে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন নাসুম আহমেদই।

এর আগে ব্যাট করতে নামা টাইগারদের সূচনাটাও ভালো হয়নি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলীয় মাত্র ৪৭ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ (২), সাকিব আল হাসান (৫) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১০)। 

এই কাতারে নাম লেখান বিপিএলে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মুনিম শাহরিয়ারও। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মুনিম আউট হন ১৮ বলে ১৭ রান করে, রশিদ খানের বলে লেগ বিফোর হয়ে। তার আগে তিনটি চারের মার মারেন মারকুটে এই ব্যাটার।  

তবে এক প্রান্ত আগলে পাল্লা দিয়ে রান তুলে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। দলীয় ৮০ রানের মাথায় রিয়াদ আউট হয়ে ফিরলে আফিফকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৩৮ বলে ৪৬ রানের জুটি। এই জুটি গড়ার পথে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম ফিফটিও। যাতে ১৭ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১২৬-এ।

তবে ওয়ানডে সিরিজ ত্রাস ছড়ানো ফজল হক ফারুকির করা ওই ওভারের শেষ বলে হাঁকাতে গিয়ে ত্রিশ গজের মধ্যেই ধরা পড়েন লিটন দাস। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের তালুবন্দি হওয়ার আগে ওয়ানডে সিরিজের সেরা রান সংগ্রাহকের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। তাঁর ৪৪ বলের এই ইনিংসে ছিল চারটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কার মার।

এদিকে, লিটন ফিরতেই যেন ছন্দ হারান আফিফও। এক বলের ব্যবধানে সেই ওমরজাইয়ের বলে মোহাম্মদ নবীর তালুবন্দি হন ২৪ বলে ২৫ রান করা তরুণ বাঁহাতি। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। যাতে ১২৭ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

আর সেইসঙ্গে ভেঙে যেতে বসে বাংলাদেশের দেড়শ পেরনো স্কোরের স্বপ্নও। তবে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান শেষ দিকের ব্যাটাররা। আরেক অভিষিক্ত ইয়াসির আলী ৭ বলে ৮, মাহেদী হাসান ৭ বলে ৫, নাসুম আহমেদের ২ বলে ৩ ও শরিফুলের ১ বলে ৪ রানের সৌজন্যে দেড়শ টপকাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

এনএস//