৪ মার্চ: রেডিও-টিভির নাম বদল, আন্দোলনে একাত্ম শিল্পীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২২ এএম, ৪ মার্চ ২০২২ শুক্রবার
লাগাতার হরতালের তৃতীয় দিনে রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র নাম বদলে ‘ঢাকা বেতার কেন্দ্র’ এবং পাকিস্তান টেলিভিশন ‘ঢাকা টেলিভিশন’ হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্মতা ঘোষণা করে বেতার-টেলিভিশন-চলচ্চিত্র শিল্পীরা ঘোষণা দেশের জনগণ ও ছাত্রসমাজ সংগ্রামে যতদিন লিপ্ত থাকবেন, ততদিন তারা কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।
বিবৃবিতে সই করেছিলেন লায়লা আর্জুমান্দ বেগম, আফসারী খানম, আতীকুল ইসলাম, ফেরদৌসী রহমান, মুস্তফা জামান আব্বাসী, গোলাম মোস্তফা, হাসান ইমাম, জাহেদুর রহিম, আলতাফ মাহমুদ, ওয়াহিদুল হক, এএম হামিদসহ আরও কয়েকজন।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা বাংলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতালে বেসামরিক শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে।
হরতালের সময় খুলনায় সেনাদের গুলিতে ছয়জন শহীদ হন। চট্টগ্রামে দুদিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২১ জনে।
পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন এদিন এক জরুরি সভায় জনগণের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণার পাশাপাশি ৬ মার্চ মিছিল এবং বায়তুল মোকাররমে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এক বিবৃতিতে ৫ ও ৬ মার্চ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতালের ঘোষণা দিয়ে বলেন, যেসব সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীরাদের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য অফিস আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের নেত্রী কবি সুফিয়া কামাল ও মালেকা বেগম যৌথ বিবৃতিতে ৬ মার্চ বায়তুল মোকাররম এলাকায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫ জন শিক্ষক আরেক বিবৃতিতে ঢাকার ‘পাকিস্তান অবজারভার’ পত্রিকার গণবিরোধী ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসএ/