ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে মরিয়া টাইগাররা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৫ এএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে মরিয়া টাইগাররা।

শনিবার বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া ম্যাচটি গাজী টিভি ও টি স্পোর্টস চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করবে।

প্রথম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে ৬১ রানে সহজ জয়ে এখন সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় শুধুমাত্র সিরিজ জয়ই নয়, ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াসের স্বপ্ন পূরণ হবে টাইগারদের।

সম্প্রতি ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া করেছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরে যাওয়ায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে টাইগাররা।

এবারের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াস করতে পারলে আফগানদের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেয়া হবে বাংলাদেশের। 
২০১৮ সালে ভারতের হায়দারাবাদে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াস করেছিল আফগানরা।

দুই দলের মধ্যে জয়-পরাজয়ের অনুপাতের দিক থেকে আর একটি জয় বাংলাদেশকে সমান অবস্থানে আনবে। এখন পর্যন্ত দু’দল সাতটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে চারটিতে জিতেছে আফগানিস্তান, আর তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ।

যখন মাত্র একটি জয় দিয়ে অনেক কিছু অর্জন করা যায়, তখন হালকা মেজাজে থাকার অবকাশ নেই টাইগারদের। 

বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ অবশ্য পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, এই সিরিজ জয়ের জন্য তারা কতটা ক্ষুধার্ত।
হেরাথ বলেন, ‘এটা দুই ম্যাচের সিরিজ। সিরিজ জিততে হলে দুই ম্যাচেই জিততে হবে। আমি মনে করি না, আমরা কাউকে বিশ্রাম দিচ্ছি এবং আমরা আমাদের সেরা একাদশ নিয়ে খেলতে নামবো।’

ওয়ানডে সিরিজের জন্য চট্টগ্রামে পেস সহায়ক উইকেট প্রস্তুত করেছিলো বাংলাদেশ। তাদের পরিকল্পনা বেশ ভালভাবে কাজে লেগেছে এবং সফলও হয়েছিলো। তবে মিরপুর ভেন্যুতে সুবিধা পান স্পিনাররাই। উইকেট স্পিন ও স্লো হওয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। কারণ সফরকারীদের উঁচু মানের স্পিনার দলে রয়েছে।

সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করতে পারলেই খুশি হবে বাংলাদেশ।

মিরপুরের উইকেট ধীর গতির হওয়ায় স্পিনাররা সহায়তা পেয়েছিলো। কিন্তু রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী এবং মুজিব উর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত আফগানদের স্পিন আক্রমণকে পরাস্ত করেন বাংলাদেশি দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ এবং সাকিব আল হাসান। 

যেটা সিরিজ জিততে এবং এই ফরম্যাটে আফগানদের আধিপত্য ভাঙতে আরও বেশি উৎসাহিত করবে বাংলাদেশকে।

এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১২৪টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। জয় ৪৪টিতে আর হার ৭৮টিতে। দুটি ম্যাচে কোন ফল হয়নি।

বাংলাদেশ দল
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মুনিম শাহরিয়ার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, শেখ মাহেদি হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

আফগানিস্তান দল
মোহাম্মদ নবি (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরত জাজাই, উসমান ঘানি, দারউইশ রাসুলি, নাজিব জাদরান, আফসার জাজাই, করিম জানাত, আজমত ওমরজাই, শরাফুদ্দিন আশরাফ, মুজিব উর রহমান, রশিদ খান, কাইস আহমেদ, ফজল হক ফারুকি, নিজাত মাসুদ ও ফরিদ আহমেদ মালিক।

এএইচ/