ন্যাটোকে তিরস্কার জেলেনস্কির
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০১:০৭ পিএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার
রাশিয়ান যুদ্ধবিমান থেকে কিয়েভকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে অস্বীকার করার কারণে ইউক্রেনীয়দের মৃত্যুর জন্য ন্যাটো দায়ী হবে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
তিনি সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছেন, “আজ থেকে যারা মারা যাবে তারাও আপনাদের কারণে, আপনাদের দুর্বলতার কারণে, আপনাদের ঐক্যের অভাবের কারণে মারা যাবে।”
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট এর আগে রাশিয়ার বিমান যাতে আকাশপথে হামলা না চালাতে পারে তার জন্য ন্যাটোর কাছে ইউক্রেনের আকাশকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন জেলেনস্কি। যদি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়া হামলা চালাত, তবে তা হত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার শামিল।
তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এই অনুরোধে সারা দিতে অস্বীকার করে ন্যাটো। আমেরিকার পরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মনে করেন বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ইউরোপে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হতে পারে। আর এই কারণেই ন্যাটো এই অনুরোধে সারা দিতে পারছে না বলেও জানান তিনি।
ঠিক এর পরে শুক্রবার ফেসবুকে নেটোর এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে প্রতিবাদ করেন জেলেনস্কি।
তিনি মনে করেন ন্যাটোর এমন সিদ্ধান্ত রাশিয়ার বর্ধিত বিমান অভিযানকে “সবুজ সংকেত” দিবে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেন, ‘‘ন্যাটো দেশগুলো এমন ব্যাখ্যা দিচ্ছে যাতে মনে হয় ইউক্রেনের আকাশপথে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিলে তা ন্যাটোর বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনকে সরাসরি উস্কে দেবে। এর মাধ্যেমে তারা নিজেদের দুর্বল এবং নিরাপত্তাহীন বলেই প্রমাণিত করছে। যদিও তাদের কাছে আমাদের চেয়ে অনেক গুণ শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে।’’
ন্যাটোর উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘‘ইউক্রেনের আকাশে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি না করে আপনারা এই দেশের শহর ও গ্রামে আরও বোমা হামলা চালানোয় সবুজ সংকেত দিয়েছেন। আপনারা চাইলে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারতেন। কিন্তু আপনারা তা করলেন না।’’
জেলেনস্কি আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে রাশিয়ার আক্রমন ও দখলকে ব্যাপকভাবে নিন্দা এবং সম্ভাব্য ইউরোপের জন্য বিপর্যয়মূলক বলে দাবি করেছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট সাথে মস্কোর দ্বারা সৃষ্ট বিপদের জন্য বিশ্বকে ‘জাগিয়ে দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
রাশিয়া খারকিভ, ওডেসা এবং মারিউপোল সহ শহরগুলিতে তীব্র বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত হাজার হাজার নিহত বা আহত হয়েছে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি শরণার্থী ইউক্রেন ছেড়েছে।
আরএমএ/ এসএ/