ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতা ফল চাষে সফলতা (ভিডিও)

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার

ক্যান্সার প্রতিরোধী টক আতা ফল, এটি চাষে সফলতা পেয়েছে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে আরও ২০টি নতুন জাতের ফল ও সবজি উদ্ভাবনেও এসেছে সফলতা।

টক আতা ফলের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকা। চার বছর আগে চারা লাগানো হয় রাঙামাটি রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে। দুই বছর হলো গাছগুলোতে ফল ধরতে শুরু করেছে।

দক্ষিণ আমেরিকার এ ফলটি সর্সপ, গ্রিভিওলা, ক্যাস্টার্ড আপেল, পাউ পা, গায়াবানো এবং গুনাবান নামে পরিচিত। একেকটি গাছে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে, যার প্রতিটির ওজন এক কেজির মতো। 

স্থানীয়রা জানান, টক আতা একটা ক্যান্সার প্রতিরোধী ফল গাছ, এই কথা প্রচার হওয়ার পর ইতিমধ্যে এখানকার ফল গাছগুলোর পাতা ও বাঁকল নিয়ে যাচ্ছে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও সুস্বাদু।

ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ টক আতা ফলের গাছের পাতা এবং বাকলের রস ক্যান্সার প্রতিরোধক। এছাড়া এ গাছের পাতা সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমে, হাইপারটেনশন থেকেও মেলে মুক্তি। তাই বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ফলটির চাহিদা। 

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আলতাফ হোসেন বলেন, “ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে সবাই চিনে আসছেন। এই ফল পরীক্ষামূলকভাবে আমাদের কেন্দ্র গত ৫ বছর ধরে গবেষণা করছি। আশা করি, গবেষণা লব্ধ ফলাফল থেকে যদি একটা জাত উদ্ভাবন করতে পারি এবং সেই জাতটা পাহাড়ের বিভিন্ন ফল বাগানে সম্প্রসারণ করতে পারি তাহলে এ এলাকার কৃষকরা লাভবান হবেন।”

এসব ফল ও সবজি শুধু পাহাড়ে নয়, দেশের কৃষি উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

এএইচ/