বঙ্গবন্ধুর ভাষণে স্বাধীনতা ও গেরিলাযুদ্ধের নির্দেশনা (ভিডিও)
রিয়াজ সুমন
প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ৫ মার্চ ২০২২ শনিবার
একাত্তরের সাতই মার্চ বঙ্গবন্ধুর উদ্দীপ্ত ভাষণেই বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতা ও গেরিলাযুদ্ধের দিক নির্দেশনা। ঘরে ঘরে শুরু হয় চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি। পঁচিশে মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের গণহত্যা এবং ছাব্বিশে মার্চ জাতির পিতার স্বাধীনতার ঘোষণার পরই শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধ।
১৯৪৭ এ দেশভাগের পর থেকেই নানাভাবে শোষণ-বঞ্চনার শিকার পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা। যার প্রথম আঘাত আসে মাতৃভাষা বাঙলার উপর। বায়ান্নে সালাম, বরকত, রফিক জব্বারদের রক্তে মায়ের মুখের সে ভাষা অর্জিত হলেও চলতে থাকে পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্র।
ছেষট্টিতে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবির পর অত্যাচারের খড়গ নেমে আসে বাঙালির উপর। ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান শেষে সত্তরের নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। তবে বাঙালির হাতে সে ক্ষমতা না দিয়ে শুরু হয় টালবাহানা।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে ক্ষমতা না দিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশন মূলতবি ঘোষণা করেছিলেন ইয়াহিয়া খান। সেদিন রাস্তায় অসংখ্য লোক নেমেছিল- ‘ইয়াহিয়ার ঘোষণা মানি না মানি না’ বলে।”
জাতির এ ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধু তাঁর সাতই মার্চের ভাষণে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে বললেন। সাত কোটি বাঙালির কাছে যা ছিল স্বাধীনতার প্রচ্ছন্ন ঘোষণা। অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি চলে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রশিক্ষণ-প্রস্তুতি।
মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, “একদিন বঙ্গবন্ধু অসহযোগের ডাক দিয়েছেন, অন্যদিকে মানুষের জেলায় জেলায় থানায় থানায়, ইউনিয়নে ইউনিয়নে মিছিল-সমাবেশ এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। ছাত্ররা হলগুলোতে ট্রেনিং নিচ্ছিল। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছিল।”
পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ছাব্বিশে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বলে গেলেন, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশ পরিণত হলো রণাঙ্গণে। সম্মুখ সমরে আর গেরিলাযুদ্ধে বীরত্বে আর কৌশলে কাঙ্খিত মুক্তির লক্ষ্যে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তায় এগিয়ে গেলো যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি জাতি।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এই সদস্য আরও বলেন, “ভাইয়ের সামনে বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হচ্ছে, তখন তারা বাধ্য হয়ে অস্ত্র ধরে। এর প্রতিশোধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল।”
নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে বিশ্ব মানচিত্র আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
এএইচ/