ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

নওগাঁয় আ.লীগ নেতা আব্দুল জলিলের নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ৬ মার্চ ২০২২ রবিবার

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নওগাঁয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত আব্দুল জলিলের নবম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় প্রয়াত আব্দুল জলিলের পুত্র নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পিতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। পরে সেখানে ফাতিহা ও দোয়া পাঠ করা হয়। 

এসময় তাঁর সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্মলকৃষ্ণ সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান ছেকার আহম্মেদ শিষান, সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহম্মেদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল হক কমল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি এ্যাড. খোদাদ খান পিটু, সাধারণ সম্পাদক বিমান কুমার সাহা, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন আকতার ও সাধারণ সম্পাদক লিপি সাহা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরবর্তীতে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেকবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ সমূহের বিভিন্ন ইউনিট সমূহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধ সংসদ, জেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ প্রয়াত নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এসময় আব্দুল জলিলে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ শহরের চকপ্রাণ মহল্লায় কোরআনখানি, মিলাদ-মাহফিল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। একইভাবে বিকেলে শহরের বাসাতেও ছিল নানা কর্মসূচি। সেইসঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

উল্লেখ্য, তিনি ১৯৩৯ সালে নওগাঁ শহরের চকপ্রাণ মহল্লায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৫০ এর দশকের শেষ ভাগে। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৎকালীন বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল তিনি ‘নওগাঁর জলিল’ হিসেবে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তাঁকে উত্তারাঞ্চলের জেনারেল হিসেবে ডাকতেন।

তিনি ১৯৫৭ সালে নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬০ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ নম্বর সেক্টরের মুখ্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরপর দু'বার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য, ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন।
কেআই//