ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ক্রিকেটে লিঙ্গ-বৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক মন্দিরা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০২ পিএম, ৭ মার্চ ২০২২ সোমবার

মন্দিরা বেদী

মন্দিরা বেদী

অভিনয়ের পাশাপাশি একটা সময় ক্রিকেট জগতে চুটিয়ে সঞ্চালনা করেছেন মন্দিরা বেদী। ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে সঞ্চালক হিসেবে দেখা যায় এই লাস্যময়ীকে। ম্যাচের আগে নিজের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করতেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ক্রিকেটারদের। দর্শকের ভূয়সী প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। 

কিন্তু সেই মন্দিরাকেই নাকি পড়তে হয়েছিল লিঙ্গ-বৈষম্যের নোংরা জালে, এমনকি সঞ্চালিকা হিসেবে নিজের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল এই অভিনেত্রীকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুরনো সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই মুখ খুললেন মন্দিরা। তার মতে, একজন নারী সঞ্চালককে মেনে নিতে অসুবিধা হয় বেশ কিছু খেলোয়াড়ের। 

মন্দিরা জানান, ক্য়ামেরার সামনে সহজ এবং সাবলীলভাবে কাজ করলেও বেশ কিছু খেলোয়াড়ের আচরণকে মনে মনে ভয় পেতেন তিনি।

এমনকি পেশাগত ক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্যেরও শিকার হয়েছেন তিনি! এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মন্দিরা বলেন, ‘অনেক ক্রিকেটারই আমাকে নিচু চোখে দেখতেন। আমার প্রশ্নগুলোকে গুরুত্বই দিতেন না অনেক সময়। ইচ্ছে মতো উত্তর দিতেন। এমন সব কথা বলতেন, যেগুলোর সঙ্গে আমার প্রশ্নের কোনো মিল নেই।’

শাড়ি পরে প্যানেলে বসে সঞ্চালনা করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়। প্রায় ২০০ মেয়ের মধ্য থেকে সঞ্চালনার জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল মন্দিরাকে। অনেক ক্ষেত্রেই নিজেকে একঘরে মনে হত তার। মন্দিরার কথায়, চ্যানেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে এ সব কিছুকে উপেক্ষা করেই নিজের কাজ চালিয়ে যেতেন তিনি।

মন্দিরা বেদী বলেন, ‘প্যানেলে বসে থাকা কেউই প্রথমে আমাকে সঞ্চালিকা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেননি। অবশ্য এখন অনেক সাবেক ক্রিকেটারই আমার বন্ধু। এক সময় তারাও আমাকে পছন্দ করতেন না। একজন নারী শাড়ি পরে, সেজেগুজে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবে- এটা তারা মেনে নিতে পারতেন না।’ 

যদিও বর্তমানে অভিনয় থেকে সঞ্চালনা- সবখানেই সফল ৪৯ বছর বয়সী ভারতের এই লাস্যময়ী। নানা বঞ্চনাকে দূরে ঠেলে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তাইতো এখন অনেকের কাছেই তিনি অনুপ্রেরণা।

এনএস//