ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে ঢাকা কলেজে আলোচনা সভা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩৮ পিএম, ৭ মার্চ ২০২২ সোমবার

১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালি জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই ৭ মার্চের গুরুত্ব ও মহত্ত্ব উপলক্ষ্যে ঢাকা কলেজের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঢাকা কলেজের টিচার্স লাউঞ্জে এই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার, প্রফেসর এ টি এম মইনুল হোসেন ও শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদারসহ অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।

ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস শিকদার বলেন, আব্রাহাম লিংক এর যে ঐতিহাসিক ভাষন ছিলো সেখানে কিন্ত রাষ্ট্রীয় কোনো ধরনের চাপ ছিলো না, মার্টিন লুথার কিংয়ের যে ঐতিহাসিক ভাষণ আছে এই সকল ঐতিহাসিক ভাষণগুলোতে রাষ্ট্রের সামরিক শক্তিগুলোর যে প্রশার সেটি ছিলো না রাষ্ট্রীয় পরাশক্তিগুলোর কোনো চাপ ছিলো না এবং জনগণের বিতর থেকে তীব্র প্রতিবাদের কোনো প্রশার ছিলো না। কিন্তু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে ভাষন দিয়েছিলেন সেখানে আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলো ছিলো তার বিপক্ষে, পাকিস্তানের মতো একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ছিলো তার বিপক্ষে, সামরিক বাহিনী ছিলো তার বিপক্ষে,এবং জনগ্ণের ছিলো বিশাল আকাঙ্ক্ষা। এই জন্যই এই ভাষণটিকে বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে আমরা বলতে পারি। 

এছাড়াও তিনি বলেন, একজন সঙ্গীতশিল্পী যখন গান করেন তখন সুর, তাল, লয় সব কিছু ঠিক রেখেই সেটি সম্পাদন করেন ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু এই ঐতিহাসিক ভাষণটিও একজন দক্ষ শিল্পীর মতো রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। সেজন্য এই ভাষণ অমর। 

ঢাকা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর এ টি এম মইনুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু তার এই ভাষণের মাধ্যমে সমগ্র জাতি ,সেই গ্রাম বাংলার কামার কুমার, কৃষক থেকে বাঙ্গালির নব্য এলিট শ্রেণী সবাইকে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি সবার কাছে তার স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠিদের কাছে তার বার্তা মাধ্যমে ইঙ্গিত করেছেন যে, পাকিস্তানির ঔপনিবেশিকতাবাদের দিন শেষ। 

তিনি তাঁর বার্তার মাধ্যমে বাঙালির মুক্তির যে মৌলিক ধারণা সেটি তৈরি করে দিয়েছেন এবং সশস্ত্র সংগ্রাম যে অনিবার্য তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে জনগণকে আহবান করেছেন হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার জন্য, বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য।  

এছাড়াও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ঢাকা কলেজের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া যে ৮ জনের তালিকা আছে এছাড়াও ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ও ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা কলেজের যে অবদান আছে সেগুলো সংগ্রহে আমাদের ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসতে হবে নয়তো এক সময়গুলো হারিয়ে যাবে।' 
কেআই//