ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিয়েবাড়িতে মদ খেয়ে নাচানাচির জেরে বরের ভাই খুন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ৭ মার্চ ২০২২ সোমবার

ঘটনার পর বিয়েবাড়ির একটা চিত্র

ঘটনার পর বিয়েবাড়ির একটা চিত্র

তুচ্ছ ঘটনার জেরে বিয়েবাড়িতেই খুন হলেন বরের খালাতো ভাই। কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে নাচানাচির সময় ধাক্কা লাগার জেরে ঘটে এই খুনের ঘটনা। 

নিহতের নাম রাহুল বাস্ফর (১৮)। সে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাচারী বাজার এলাকার প্রদীপ বাস্ফরের ছেলে এবং বর রনি বাস্ফরের খালাতো ভাই বলে জানা গেছে। 

সোমবার (৭ মার্চ) সকালে শহরের পুরাতন রেল স্টেশন এলাকাস্থ সুমন বাস্ফরের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার।

বরপক্ষের লোকজন জানায়, রোববার (৬ মার্চ) রাতে গাইবান্ধার কাচারী বাজার এলাকার স্বপন বাস্ফরের ছেলে রনি বাস্ফরের সঙ্গে কুড়িগ্রাম সদরের পুরাতন রেল স্টেশন পাড়ার সুমন বাস্ফরের মেয়ে সুমি রানী বাস্ফরের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বর পক্ষে প্রায় শতাধিক লোক আসেন। সোমবার সকালে বিয়ে বিদায়ের আগে মদ খেয়ে নাচানাচির সময় কনের প্রতিবেশি এক যুবকের সঙ্গে রাহুলসহ কনে পক্ষের কয়েকজনের ধাক্কা লাগলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। 

কিন্তু কিছুক্ষণ পর স্থানীয় হরিজন সম্প্রদায়ের এক যুবক আকস্মিক ছুটে এসে রাহুলের বুকে ছুরিকাঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় বর পক্ষের আরও কয়েকজন আহত হন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী বরযাত্রী রুবন বাস্ফর জানান, ঘটনার সময় আমি একটু দূরে অবস্থান করছিলাম। সকালের নাচা-নাচির সময় সংঘর্ষের সূত্র ধরে স্থানীয় এক যুবক বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে রাহুলের বুকে আঘাত করে। এতে সঙ্গে সঙ্গেই রাহুল লুটিয়ে পড়ে। সেখানে রাহুলের সঙ্গে থাকা কয়েকজন রাহুলকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তারাও আহত হয়। হামলাকারী ঐ যুবক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে হামলাকারীকে তিনি চিনতে পারেননি।

কনের বাবা সুমন বাস্ফর বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতেই ছিলাম। ওইদিকে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে- তা আমার জানা নাই। আমি দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করছি।

সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে হামলাকারীর নাম প্রকাশে অপারগতা জানান ওসি।

এনএস//