ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২০ ১৪৩১

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০১ এএম, ৯ মার্চ ২০২২ বুধবার

‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও দোলনচাঁপা হলের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হলে গিয়ে শেষ হয়। 

র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বঙ্গমাতা হলের প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিন, দোলন-চাঁপা হলের প্রাধ্যক্ষ সিরাজাম মনিরা, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ জান্নাতুল ফেরদৌসসহ অন্যরা। 

র‌্যালি শেষে বঙ্গমাতা হলে নবাগত আবাসিক শিক্ষার্থীদের বরণ উপলক্ষে অভ্যর্থনা ও আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হল প্রাধ্যক্ষ নুসরাত শারমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর মো. জালাল উদ্দিন। এতে  স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. তপন কুমার সরকার, সহকারী পরিচালক (কাউন্সিলিং সাইকোলোজিস্ট) মোছাঃ আদিবা আক্তার, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জান্নাতুল নাঈম। 

সম মর্যাদার ভিত্তিতে সমতায়ন তথা নারী-পুরুষের সম অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, সমাজ এগিয়ে যাবে তখনই যখন নারী-পুরুষ সমানভাবে এগিয়ে যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের নারীরাও সেভাবে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মাত্র সাড়ে চার শতাংশ নারী কাজ করতো যেটা এখন প্রায় ৪০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এমনকি আগামী ২০৪১ সালে নারীরা পুরুষের সমানে সমান কাজে অংশগ্রহণ করবে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। হলের নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ট্রেজারার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, হল হলো একটা বৃহৎ যৌথ পরিবার, সকলের প্রচেষ্টায় হলের পরিবেশ সুন্দর, শান্ত ও পরিচ্ছন্ন হতে পারে। আমরা নিজেদের বাসা বাড়িতে যেভাবে থাকি, হলকেও নিজের বাসা মনে করে বসবাস করতে হবে।
কেআই//