ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

৭ মার্চের ভাষণের পর গুরুত্বপূর্ণ দিন ৯ মার্চ (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ৯ মার্চ ২০২২ বুধবার

স্বাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ৯ মার্চ। পল্টন ময়দানের বিশাল জনসভায় একাত্মতা প্রকাশ করে ভাষণ দেন মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হমিদ খান ভাসানী। এদিন ১৪ দফার ডাক দিয়ে বাংলার মানুষকে শেখ মুজিবুর রহমানের উপর আস্থা রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

৯ মার্চ, ১৯৭১। পল্টনের জনসভায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের উদ্দেশে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেন, ‘অনেক হয়েছে আর নয়, তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে পূর্ণ আস্থা রাখেন তিনি। 

জনসভায় মাওলানা ভাসানী তুমুল করতালির মধ্যে বলেন, ‘মুজিবের নির্দেশমতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কিছু না হলে আমি শেখ মুজিবের সাথে মিলে বায়ান্নর মতো তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলব।’

স্বাধীনতা আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন স্পষ্ট করেন তার ১৪ দফায়। এতে স্বাধীনতার পালে হাওয়া লাগে বলে জানান মাওলানা ভাষানীর ভাবশিষ্য, রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন। 

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “সেই সময়ে আমাদের দু’জন অবিসংবাদিত নেতা। সেই দু’জনের ঐক্য আমাদের মুক্তিসংগ্রাম এগিয়ে নিতে এবং মানুষের মধ্যে ঐক্যবোধকে জাগ্রত করতে সম্ভব করেছিল। আমরা যারা কমিউনিস্ট বিপ্লব সমন্বয় কমিটিতে ছিলাম জনসভা করে মাওলানা ভাসানীর এই বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলাম।”

২৫ মার্চের গণহত্যার পর অস্ত্রহাতে নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিলনা। তখন একই স্রোতে মেশে স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তি। 
 
রাশেদ খান মেনন বলেন, “এই সমন্বয়টি ঘটেছিল এভাবে- ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গিকার অনুযায়ী তারা প্রবাসী সরকার গঠন করেছিল এবং আমরা যারা বাইরে ছিলাম তখন জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম।”

বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতার স্বাদ পায় বাঙালি। অথচ স্বাধীনতার মাত্র ৪ বছরের মাথায় বাঙালির মহান নেতাকে হত্যা করে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যায় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র।

রাশেদ খান মেনন বলেন, “পরবর্তীকালে জিয়া-এরশাদের আমলে সামরিক শাসনের মাধ্যমে দেশের সংবিধানকে গুঁড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানি ধারায় দেশকে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা আমরা দেখেছি।”

স্বাধীনতার ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে সার্বোভৌমত্ব ধরে রাখারও আহবান জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। 

এএইচ/