সোহরাওয়ার্দীতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে ধীরগতি (ভিডিও)
শাকেরা আরজু
প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পাকিস্তানী সেনাদের আত্মসমর্পনসহ নানা কারণেও এই উদ্যানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। বাঙালির আত্মপরিচয়ের স্মারক স্থানটি সংরক্ষণের জন্য রয়েছে উচ্চ আদালতের নানা আদেশ।
তৎকালীন রেসকোর্স, এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ঐতিহাসিক এ ময়দান থেকেই একাত্তরের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা দেন মুক্তি সংগ্রামের। আর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এখানেই আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে কাজ এখনও চলমান।
২০০৯ সালে ২৫ জুন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান ও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানটি সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। রায়ে ৭টি স্থান সংরক্ষণ ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মিত কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে না- এমন সব স্থাপনা সরাতে আদেশ দেন।
এরপর উচ্চ আদালত আরেকটি আদেশে সোহরাওয়ার্দীসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর তর্জনী উঁচানো ম্যুরাল স্থাপনের নির্দেশ দেন। তবে এ আদেশ বাস্তবায়নে বারবারই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মৌলবাদচক্র।
মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী বীরেন সোম বলেন, “হইছে-হচ্ছে আবার একটা গ্রুপ এটা ভাঙ্গার জন্য তৎপর। শুধু এটা নয়, স্বাধীনতার উপর অনেক স্তম্ভ-স্কাবচারও নির্মাণের বাইরে, এরা হাত দিয়েছে।”
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারাদেশে জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপন করে সম্মুখভাগে জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর তর্জনী উঁচু যে স্ট্রাচুটা সেটার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, “প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যে ভবনগুলো রয়েছে সেখানেও হয়েছে এবং দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের মূল ভবনগুলোতে তারা স্বদ্যোগে করেছে।”
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সে কাজ এখনও চলমান রয়েছে।
এএইচ