ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

খাবার খেয়ে মাসে ৭ কোটি টাকা আয় এই তরুণীর!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ১১ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

ইউটিউব খুললেই এখন ফুড ব্লগের বন্যা। প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাইবোনে ইউটিউবে খাবারের ভিডিও দিয়ে কচরমচর করে খায়, আর আমরা তা দেখি। অধিকাংশ ফুড ব্লগই জনপ্রিয়। ভালই আয় করেন তারা। তাই বলে মাসে সাড়ে ৭ কোটি টাকা!

হ্যাঁ, ক্যামেরার সামনে স্রেফ খেয়ে মাসে সাড়ে ৭ কোটি টাকা আয় করেন কানাডার অন্টারিওর বাসিন্দা নাওমি ম্যাকরে। ইউটিউবের দর্শক অবশ্য নাওমিকে চেনে হানিবি নামে। 

নাওমি পেশা জীবন শুরু করেছিলেন ফিটনেস ট্রেইনার হিসেবে। তবে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে যখন পড়ছেন তখনই এএসএমআর কন্টেন্টে হাত পাকাতে শুরু করেন। এখন প্রশ্ন হল, এএসএমআর জিনিসটা কী?

এএসএমআর হল অটোনোমাস সেনসরি মেরিডিয়ান রেসপন্স। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সুক্ষ্ম শব্দ মস্তিষ্কে এক ধরনের অনুরণন তৈরি করে। যা আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে, শরীরকে আরাম দেয়। খাওয়া-দাওয়ার সময় আমাদের মুখ থেকে যে শব্দ হয়, তাতেও একই কাজ হয়। এই কারণেই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে ফুড চ্যানেলের ভাবনা এসেছিল নাওমির মাথায়। যেখানে কথা না বলে এএসএমআর কনটেন্ট তৈরি করতে শুরু করেন তিনি।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ক্যামেরার সামনে নাওমি যা খান তাও কিন্তু স্পেশাল। নাওমি মূলত বিভিন্ন সাইজের চকোলেট খান। কোনটা দেখতে মাছের মতো, কোনওটা যেন হেয়ারব্রাশ। সঙ্গে পানীয় হিসেবে শ্যাম্পেনের বোতল থাকে। আর সেই সব খাবার হয় চটকদার লাল-নীল-সবুজ রঙের। 

বোঝাই যায়, এই খাবার দর্শকের মন কাড়ার জন্য অর্ডার দিয়ে তৈরি করা। চুপিচুপি এএসএমআর ফুড ব্লগ শুরু করে মাস তিনেকের মধ্যে ১ লাখ সাবস্ক্রাইবারে পৌঁছে যান নাওমি। বর্তমানে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি। আর মাসে আয় সাড়ে ৭ কোটি টাকা। 

নাওমি বলেন, “আমার কাজ আমি ভীষণ ভালবাসি। বিশ্বের কোনও কিছুর বিনিময়ে এই কাজকে আমি বেচতে পারব না।” 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এমএম/