ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জনশক্তির বোনাসকাল বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি (ভিডিও)

সাইফ ইসলাম দিলাল

প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৪:২৭ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার

দেশী-বিদেশী শ্রমবাজারের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে পারলেই কাজে লাগানো সম্ভব হবে জনশক্তির বোনাসকাল, যা বদলে দেবে দেশের অর্থনীতিকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সামনে এখনো সে সুযোগ আছে, তবে এজন্য সবচেয়ে জরুরি সমন্বিত পরিকল্পনা।

গত এক দশকে শিল্পায়নের প্রসারে গড়ে ওঠেছে একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। নিশ্চিত হয়েছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। অনেকগুলো ফ্লাইওভার, পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় অবকাঠামোর কাজও প্রায় শেষের দিকে। ফলে দেশেই গড়ে উঠবে দেশি-বিদেশি শিল্প কারখানা, প্রয়োজন হবে দক্ষ জনবল।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, “২০১২ সালে আমাদের এই বেনিফিটটা শুরু হয়েছে। শিক্ষার বহু সংস্কারের কথা আমরা ভাবছি, করেছিও অনেক সময়, অনেক পরিবর্তন আনছি। কিন্তু কার্যকর পরিবর্তন কি হচ্ছে? ব্যবহার উপযোগী শিক্ষা, যে শিক্ষাটায় একজন সার্টিফিকেট নিয়ে যেন বেড়িয়ে যায় না, তাকে কর্ম উপযোগী শিক্ষাটা যেন দেওয়া হয়।”

আইএলওর সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা রিজওয়ানুল ইসলাম বলেন, “নজর দিতে হবে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের উপর। তবে অবশ্যই যেকোনো ধরনের শিক্ষা, যেকোনো ধরনের প্রশিক্ষণ- এটা হবে না। কী ধরনের দক্ষতা শ্রমবাজারে প্রয়োজন হয়, কী ধরনের দক্ষতার চাহিদা রয়েছে সেটা দেখতে হবে এবং সেইভাবে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।”

ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার বাজার লক্ষ্য রেখে দক্ষ মানবসম্পদ এদেশেও গড়ে তোলা সম্ভব।। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, গ্রিসসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে কর্মী প্রেরণে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএমইটি ও বোয়েসেল চেষ্টা করছে। এসব দেশ স্বাস্থ্যকর্মী ও তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন পদে জনবল নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সেখানে যাওয়ার জন্য যেমন দক্ষতা ও ভাষা জানা প্রয়োজন, তাতে অনেকটাই ঘাটতি রয়েছে।

বোয়েসেল এমডি মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “ইউরোপের একটি মার্কেট ধরার চেষ্টা করছি। অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানির সঙ্গে এমএল খসড়ায় দুই পক্ষই নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছি।”

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের বড় ভূমিকা পালন করতে পারে জনমানুষ তথা জনসংখ্যাতাত্ত্বিক সুবিধা। সরকারি ও বেসরকারি খাত লক্ষ্য করে পরিকল্পনা সাজালে কাঙ্ক্ষিত সুফল আনবে অতি দ্রুত।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “সরকারের দায়িত্ব এমন একটা পলিসি করা, যাতে ওইটা সহায়ক হয়। ওখানে ব্যয় করেন যেখানে মানুষের কল্যাণ হবে। তাই আমাদের সরকার দারিদ্র্য কমাতে চাচ্ছে, গ্রামে সড়ক নির্মাণ করছে, স্কুল বানাচ্ছে, হেলথ সেন্টার বানাচ্ছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এর ফলে বিশাল লাভ আসবে।”

এএইচ/