সহশিল্পীকে বিয়ের আংটি দিয়ে দিলেন পরীমনি!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০২২ শনিবার
পরীমনি
পরিচালক অরণ্য আনোয়ার সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘মা’ নামের একটি সিনেমা তৈরি করছেন। সিনেমাটিতে ১৯৭১ সালে মৃত ঘোষণা করা সাত মাসের এক সন্তানের অসহায় মায়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। মায়ের চিরত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। সিনেমার শুটিংয়ে পরী এমন একটি কাজ করে ফেললেন, যার জন্য তিনি আরেকবার আলোচনায় উঠে এসেছেন। পরিচালক অরণ্য আনোয়ার পরীর ঘটনাটি তার ফেইসবুক পোষ্টের মাধ্যমে সবার সামনে নিয়ে আসেন।
তিনি লেখেন, ‘‘বেলা তিনটার দিকে শুটিং প্যাকআপ করে আমি টিমের সঙ্গে খেতে বসলাম। এ সময় কে একজন বলল, পরী আপু আপনাকে ডাকছেন। সেটের মধ্যে একটা রুমে পরী তখন রাজের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে যাওয়ার আয়োজনে ব্যস্ত। আমাকে দেখে বলল, ভাইয়া, আমার সন্তানের চরিত্রে অভিনয় করা শিশুটাকে একটা ভালো গিফট দেয়া উচিত।
‘‘ওর কথা শেষ হওয়ার আগেই আমি উত্তর দিলাম, ওটা নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না। আমি ব্যবস্থা করছি। বলেই আমি চলে এলাম। আমার মাথায় তখন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ডে লাইটে একটা দৃশ্য শেষ করার চিন্তা। আমি পেশাদার মানুষ। আমার প্রোডাকশন টিম আগেই শিশুটির সম্মানী বাবদ একটা অঙ্ক খামে করে ওর মায়ের হাতে তুলে দিয়েছে। সেটাকে আমি যথেষ্ট বলে মনে করি। খাওয়া শেষে উঠানে একটা দৃশ্যের শুটিংয়ের আয়োজন করছি, এ সময় আবার ঘরের ভেতর থেকে পরীর ডাক। আমি ব্যস্ত, তবু ভাবলাম ওকে বিদায় দিয়ে আসি। ঘরে ঢুকতেই দেখলাম রাজ আর পরীর হাতে একটা সোনার রিংয়ের ছোট বাক্স। পাশে বসা সেই শিশুটির মা।
‘‘পরী বলল, ভাইয়া, আমার দুটো এনগেজমেন্ট রিংয়ের একটা হচ্ছে এটা। আমি বাবুটাকে আপনার হাত দিয়ে এই রিংটা উপহার দিতে চাই। আমি হতভম্ব! কী বলে এই মেয়ে?’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘পরী আবার বলল, গত কয়েকটা দিন ওর সঙ্গে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে ওর প্রতি আমার যে মায়া জন্মে গেছে। আমি আবেগাপ্লুত হলাম। শ্রদ্ধায় নত হলাম পরীর কাছে। বললাম, তুমি সত্যিই একটা পাগল। আচ্ছা, আসো তাহলে আংটি দেয়ার একটা ছবি তুলি এক সঙ্গে। রাজ বলল, নীরব ভালোবাসাটা নীরবই থাকুক ভাই। ছবি তোলার দরকার নেই।’’
ফেইসবুকে ঘটনাটি শেয়ার করে অরণ্য আনোয়ার আরও লিখেছেন, ‘‘আমরা ছবি তুললাম না। কিন্তু পরীর এই আবেগের কথা আমি লিখব না, মানুষকে জানাব না, এতটা চাপা স্বভাবের মানুষ যে আমি নই। দুই মাস বয়সী শিশুটির বাবা একজন অটোরিকশাচালক, মা গৃহিণী। স্যালুট, পরী মনি। তোমাকে স্যালুট, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা।’’
এমএম/