ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শিবির সন্দেহে হল থেকে বিতারিত শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৫৮ এএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার

শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ এনে এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা। 

শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের ২১৯ নম্বর কক্ষ হতে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল বাছির জুয়েলকে বের করে দেন ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ গ্রুপের অনুসারীরা। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ কামাল আরিফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আশরাফ কামাল আরিফ, মাহবুবুর রশিদ ও আব্দুল্লাহ আল রুমান নিয়ন্ত্রিত গ্রুপটিতে বিভিন্ন দল ও উপদল রয়েছে। নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দল ও আগামী কমিটিতে পদ পাওয়ার লোভে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা করতে দেখা যায়। 

এর প্রেক্ষিতে আব্দুল বাছির জুয়েলকে হল থেকে বের করে দেন আশরাফ কামাল আরিফের অনুসারীরা। 

এসময় লোকপ্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আহমেদ রানা, ইংরেজি বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম রিশাদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের আবু বকরসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে বাকবিতণ্ডা করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ওরে বাইর কর, হলে কোন শিবির থাকতে পারবে না’। 

এসময় কয়েকজনকে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আশেপাশে ঘুরতেও দেখা যায়।

এবিষয়ে ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল বাছির জুয়েল বলেন, শনিবার গ্রুপের এক বড় ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী রায়হানের জন্মদিন উপলক্ষে ‘মেসেঞ্জার গ্রুপে’ একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। পরবর্তীতে কয়েকজন বড় ভাই আমাকে পোস্টটি ডিলিট করতে বলেন। 

পোস্টটি ডিলিট না করায় বিকালে কয়েকজন বড় ভাই এসে আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। 

এসময় আমি ‘কেন বের হয়ে যাবো’ জানতে চাইলে ইফতেখার আহমদ রানা বলেন, উপরের নির্দেশ রয়েছে। আরিফ ভাই নির্দেশ দিয়েছেন বের হয়ে যেতে। 

বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে গ্রুপ লিডার আশরাফ কামাল আরিফ তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার নির্দেশ দেন বলে জানান জুয়েল। 

এদিকে শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পরিবারের কেউ শিবিরের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। তবুও তারা এমন কথা কেন বলেছে, আমি তা জানি না।

এ বিষয়ে আশরাফ কামাল আরিফ বলেন, সিনিয়ররা জুয়েলের সিটে একজনকে দিয়ে তাকে আরেক রুমে দিতে চেয়েছিল। পরে সিনিয়রদের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। তবে সিনিয়ররা এখন সে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান বলেন, ঘটনাটি আমিও শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএইচ/