ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

জুনিয়রকে আহত করে হাসপাতালে পাঠালেন সিনিয়র

জাককানইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:১৮ এএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়রের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাগর চন্দ্র দে।

শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অগ্নিবীণা হলের ২০৪নং কক্ষে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে বলে জানান আহত শিক্ষার্থী। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা জানা যায়নি।

নির্যাতনের স্বীকার সাগর চন্দ্র দে’র জানান, শনিবার বিকালে রুমের রোলিং চেয়ারে বসিয়ে জোরে জোরে ঘুরিয়ে ফেলে দেয় চারুকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৌমিক জাহান। 

চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে দুটি দাত ভেঙ্গে যাবার পর মাথা ফুলে গিয়ে রক্তক্ষরণের প্রায় ২০ মিনিট রুমে থাকলেও তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থী। এমনকি কাউকে যেনো ফোন না করতে পারেন সে জন্যে নির্যাতনের স্বীকার হওয়া শিক্ষার্থীর থেকে তার ফোনও ছিনিয়ে নেয়া হয়। 

পরে তিনি লুকিয়ে তার সিনিয়র ভাইকে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। এসময় তিনি সিনিয়রকে তার একটা ছবি দেন এবং বলেন, ভাই আমি শেষ ২০৪-এ আগ্নিবীণা হল।

বিকাল ৪টায় আহত সাগরকে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

সাগরকে দেখতে হাসপাতালে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোহাম্মদ ইরফান আজিজ ও ছাত্র পরামর্শক তপন কুমার সরকার।

হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা বলেন, “অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগে আমরা রোগীকে সুস্থ্য করে তুলতে চাই।”

এদিকে নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে অগ্নিবীণা হল প্রশাসন। ইরফান আজিজকে আহবায়ক করে হীড়ক মুশফিককে সদস্য সচিব ও মোঃ আলিমকে সদস্য করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হল প্রভোস্ট কল্যাণাংশু নাহা।

এর আগে গেলো ২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু হলের ৩২৪নং কক্ষে ছাত্রলীগ না করার কারণে নির্যাতনের স্বীকার হন ওয়ালিদ নিহাদ। সেই ঘটনায় ৪ জনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সাথে কেনো স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তার উত্তর জানাতে ১৫ দিনের সময় বেধে দিয়েছে প্রশাসন। 

এএইচ/