ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মারিওপোলের ন’তলা ভবনে পড়ল রুশ গোলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৪:৩৮ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার

পিছনে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি। সন্তানদের নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক মা। ছবি: পিটিআই।

পিছনে দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি। সন্তানদের নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন এক মা। ছবি: পিটিআই।

রাশিয়ার বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে ইউক্রেনের বড় বড় স্থাপনা ও সাধারণ মানুষ। রাশিয়া যাই দাবি করুক না কেন, তাদের গোলা বা বোমার হাত থেকে সাধারণ নাগরিকরা যে রেহাইা পাচ্ছেন না তা স্পষ্ট হয়েছে সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এপি-র এক সাংবাদিকের তোলা ভিডিও থেকে। 

সেই ভিডিও’য় দেখা যায় মারিয়োপুলে রুশ ট্যাঙ্ক থেকে ছোড়া গোলা আছড়ে পড়ছে ন’তলা একটি আবাসনের বারান্দায়। দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন।

ওই ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে রুশ স্নাইপারদের থেকে বাঁচতে কয়েক জন স্বাস্থ্যকর্মী পালিয়ে ঢুকে পড়ছেন একটি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালের অবস্থাও বেশ করুণ। গোল-গুলিতে ভেঙে পড়ছে জানলা। গোটা হাসপাতালে কোনও আলো নেই। শুধুমাত্র যেখানে অস্ত্রোপচার চলছে সেইখানে আলো রয়েছে। তার মধ্যেই চলছে যুদ্ধে আহত নাগরিকদের অস্ত্রোপচার। যদিও আনন্দবাজার অনলাইন এই ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি।

রাশিয়ার ট্যাঙ্কের গোলা থেকে বাঁচতে অনেকেই ওই হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদেরই এক জন আনাস্তাসিয়া ইরাশোভা তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ঘুমন্ত এক শিশুকে বুকে ধরে তিনি বলেন, রাশিয়ার বোমায় তার নিজের এক সন্তান এবং ভাইয়ের সন্তান মারা গিয়েছে।

ইরাশোভার কথায়, ‘যুদ্ধ শুরু হতেই আমি ভাইয়ের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করি। বাড়ির মহিলা এবং শিশুরা ভূগর্ভস্থ একটি ঘরে থাকে। কিন্তু হঠাৎ এক দিন বাড়িতে মর্টার হামলা হয়। বাড়ি ভেঙে যায়। চাপা পড়ে শিশু দু’টি মারা যায়। কোনও উপায় ছিল না তাদের বাঁচানোর।’ বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন ইরাশোভা। সূত্র: আনন্দবাজার

 

এসি