পকেটমারিতে ধরা অভিনেত্রীর যত কাণ্ড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৭:০৭ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২২ রবিবার
রূপা দত্ত।
পকেটমারির অভিযোগে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকে গ্রেফতার অভিনেত্রী রূপা দত্তকে রবিবার তোলা হল আদালতে। বিচারকের সামনে রূপা নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলে দাবি করেন।
কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তাকে। রূপার আইনজীবীও তার বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত তার এক দিনের জেল হেফাজত হয়।
তবে রূপা দত্তের কাণ্ডের শেষ নেই। মুম্বাই টেলিপাড়া, বাংলা ছবি, রাজনৈতিক ময়দান— সব ক্ষেত্রেই তার অবাধ বিচরণ। খুব পরিচিত মুখ না হলেও ২০২০ সালে বলি পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে ‘অশ্লীল বার্তা’ পাঠানোর অভিযোগ তোলার পরে শিরোনামে আসেন রূপা।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ‘অনুরাগ কশ্যপ’-এর সঙ্গে হওয়া কথাবার্তার ছবি তুলে পোস্ট করেছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, ‘অনুরাগ কশ্যপ’ নামে অন্য আর এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন রূপা। সেই ব্যক্তি আর বলি পরিচালক এক ব্যক্তি নন। সেই সময়ে গ্রেফতার মহিলা নিজেই তার টুইটার প্রোফাইলে নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের কর্ণী সেনার রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। যদিও পরিচয় ২০২২-এ আর নেই।
শুধু তা-ই নয়, অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে একটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রূপা। তা ছাড়া তার টুইটার থেকেই জানা যাচ্ছে, ‘জয় মা বৈষ্ণদেবী’ বলে একটি হিন্দি ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। রূপা নাকি অভিনয় শেখানোর জন্য একটি স্কুলও খুলেছেন। উপরন্তু ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট পেয়েছেন বলেও দাবি তার ফেসবুক প্রোফাইলে।
নিজেকে ‘লেখিকা’, ‘অভিনেত্রী’, ‘পরিচালক’, ‘সমাজসেবী’, ‘কন্যা’ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ফেসবুকে। তার প্রোফাইল হাতড়ালে দেখা যাবে, তিনি দাবি করেছেন, মাত্র ১০ বছর বয়স থেকে তিনি কাজ করা শুরু করেছেন। মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্যেও প্রকল্পের সূচনা করেছেন বলে দাবি রূপার।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বইমেলায় রূপার সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করেন টহলরত পুলিশকর্মীরা। দেখা যায়, তিনি বেশ কয়েকটি মানিব্যাগ আবর্জনা স্তূপে ফেলছেন। তাকে প্রশ্ন করার পরে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন না তিনি। তাকে বিধাননগর উত্তর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানেই তিনি নিজেকে বলি অভিনেত্রী বলে দাবি করেছেন। তার কাছ থেকে একাধিক মানিব্যাগ, নগদ টাকা, একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়। তা থেকে পুলিশ জানতে পারে, কবে, কোথা থেকে কত টাকা তিনি হাতিয়েছেন। সেখানে বইমেলা ছাড়াও কলকাতার অনেক জনবহুল এলাকার নাম পাওয়া যায়। এমনকি ওই ডায়েরিতে খরচের বিবরণ দেওয়া রয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার
এসি