চীন ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের অবনতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩২ এএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার
ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে সামরিক, রাজনৈতিক ও বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে সম্পর্কের অবনতির কথা এখন আর গোপন কিছু নয়। দিন দিনএই দু’দেশের মধ্যে মতপার্থক্যের মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া ও চীনের সম্পর্কের শীতলতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে গত সপ্তাহের কতগুলো ঘটনাকে কেন্দ্র করে।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া সরকার ঘোষণা করে, ২০২১ সালের শেষে চীন আপত্তি প্রকাশ সত্ত্বেও তারা মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করতে আরো সামরিক নিয়োগ দিচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে একটি চীনা জাহাজ থেকে একটি অস্ট্রেলিয়ান সামরিক বিমানের দিকে লেজার তাক করা হয়েছিলো। আর সেই বিষয়টি নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করে অস্ট্রেলিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রান্ড গবেষণা সংস্থার উর্ধতন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ডেরেক গ্রসম্যান বলেন "চীন -অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক হয়তোবা ইউএস -চীন সম্পর্কের চাইতে আরো খারাপ হতে পারে"।
তিনি আরো বলেন "দেখে মনে হচ্ছে যে অস্ট্রেলিয়া-চীনের সম্পর্ক তীব্র বিদ্বেষের মাত্রায় চলে গেছে"।
গত বছর সামরিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন ক্রয় সংক্রান্ত "অকাস" নামের চুক্তি সই করা হয়। চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানান চীন অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে আগামী শতাব্দীতে বিপুল অর্থ ব্যয় করবে।
অস্ট্রেলিয়া সরকার জানায় যে তারা আগামী কয়েক দশকে ৫৮ কোটি ৩০ লক্ষ ডলার বিনিয়োগ করবে।
সেই বাজেটের আওতায় তারা ড্রোন ও পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম অংশের মানচিত্র নির্ণয় এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশ কেনার সুযোগ পাবে বলে প্রধানমন্ত্রীর ওয়েব সাইট থেকে জানানো হয়েছে। আর এগুলোকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া ও চী্নের মধ্যে ক্রমাগতভাবে বিভাজন বেড়ে চলেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও বলেন, " আশা করা যায় যে উভয় পক্ষ অতীত পর্যালোচনা করতে এবং ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার জন্য একসাথে কাজ করবে, পারস্পরিক সম্মান, সমতা এবং সুবিধার নীতি মেনে চলবে এবং চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালাবে"।
সুত্রঃ ভয়েস অফ আমেরিকা
আরএমএ