ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪,   কার্তিক ৩ ১৪৩১

ইতিহাসে অনেকটাই ম্লান নারী মুক্তিযোদ্ধারা (ভিডিও)

মুশফিকা নাজনীন

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। দেশ স্বাধীন করতে সরাসরি কিংবা আড়ালে থেকে যুদ্ধ করেছেন অনেক নারী। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছেন, প্রেরণা দিয়েছেন, করেছেন সেবা। সম্ভ্রমও হারিয়েছেন অনেকে।

মুক্তিযুদ্ধে কাঁকন বিবি, তারামন বিবি, শিরিন বানু মিতিল, আশালতা, রওশন আরার মত অনেকেই সরাসরি অংশ নিয়েছেন। নাম না জানা অনেক নারী নীরবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস জুগিয়েছেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের গোবরা ক্যাম্পে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছেন অনেক নারী। শরণার্থী শিবিরে ডাক্তার, নার্স এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা দিয়েছেন অনেকে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন নারী শিল্পীরা। পথে-প্রান্তরে গান গেয়ে তাঁরা অর্থ সংগ্রহ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর বলেন, “খাবার থেকে শুরু করে অস্ত্র এক জায়গা থেকে অন্য আরেক জায়গায় নেয়া, গুপ্তচরের দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন নারীরা।”

তার আক্ষেপ ইতিহাসে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কথা তেমনভাবে উঠে আসেনি। 

রোকেয়া কবীর বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা বললেই যে চিত্রটা আসে সেই চিত্র হলো আর্মস নিয়ে যুদ্ধ করা। আসলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধটা দু’টা দেশের আর্মির মধ্যে ছিল না। এখানে সারাদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার একটা ক্ষুদ্র অংশ লিস্টেট হচ্ছে। মহিলা তো নয়ই।”

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নারীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করাও হয়নি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আরও বলেন, “সারা পৃথিবীতে, এটা শুধু বাংলাদেশে তা নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নারীরা কিভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন, সেগুলোও কিন্তু ইতিহাসে ওইভাবে আসেনি।”

ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম; তারামন বিবি ও কাঁকন বিবিকে বীর প্রতীক খেতাব দেয়া ছাড়া নারীদের অবদানের কোন স্বীকৃতি আর দেয়া হয়নি। জনযোদ্ধাদের মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি। 

এএইচ/