এক খাজার রানই ছুঁতে পারল না পাকিস্তান!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২২ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার
করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টের একটি মুহূর্ত
রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ম্যাড়মেড়ে ড্র হওয়ার পর করাচিতে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি দুই দল। রাওয়ালপিন্ডির মতো করাচির পিচও কেমন যেন নিষ্প্রাণ। প্রথম দুই দিনের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল এই টেস্টও এগোচ্ছে ড্রয়ের দিকেই। তবে মিচেল স্টার্কের আগুন ঝরা বোলিংই বদলে দিল ম্যাচের সব হিসেব-নিকেশ।
করাচিতে টস জিতে দুই দিনেরও অধিক সময় ধরে একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৫৫৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। একমাত্র দুর্ভাগা মার্নাস ল্যাবুশানে, শূন্যতেই রান আউটে কাটা পড়েন এই ব্যাটার।
এছাড়া অজি দলের বাকি ১০ ব্যাটারই পান ভালো সূচনা। যার মধ্যে উসমান খাজা সর্বোচ্চ ১৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ৫৫৬ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ৩৬৯টি বল মোকাবেলা করে ১৫টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি গড়েন এই অজি বাঁহাতি। এছাড়া মাত্র ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় অ্যালেক্স ক্যারেকে।
সফরকারীদের এই দীর্ঘ সময় ক্রিজে কাটানোর পর ফ্লাট উইকেটে পাকিস্তানের ব্যাটাররাও লম্বা ইনিংস খেলবেন- এমনটাই প্রত্যাশা করছিলেন অনেকেই। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টোটা।
ওপেনার আব্দুলাহ শফিক ১৩ রানে আউট হলেও নিজেদের ইনিংসকে একটু একটু করে এগোচ্ছিলেন প্রথম ম্যাচের দুই হিরো ইমাম উল হক ও আজহার আলী। সঙ্গে এগোচ্ছিল দলের স্কোরও।
তবে দলীয় ৪৫ রানে ইমাম আউট হওয়ার পরেই নামে বিরাট ধ্বস। নিষ্প্রাণ পিচেই যেন প্রাণ ফিরিয়ে আনেন মিচেল স্টার্ক। অজি বাঁহাতি পেসার পরপর দুই বলে তুলে নেন আজহার আলী (১৪) ও ফাওয়াদ আলমকে (০)। যার ফলে ৬০ রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এ অবস্থায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬), ফাহিম আশরাফদের (৪) নিয়ে গড়া পাকিস্তানের মিডল অর্ডারও। একমাত্র অধিনায়ক বাবর আজম ব্যাট হাতে কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন বটে। তবে তিনি অজি লেগ স্পিনার মিচেল সোয়েপসনের প্রথম আন্তর্জাতিক শিকারে পরিণত হলে শেষমেশ ১৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস।
যা অজিদের সর্বোচ্চ স্কোরার উসমান খাজার থেকেও ১২ রান কম! আর এতেই প্রথম ইনিংস শেষে ৪০৮ রানে পিছিয়ে পড়েন বাবর আজমরা। স্টার্কের তিন উইকেট ও সোয়েপসনের দুই উইকেটের পাশপাশি প্যাট কামিন্স, ন্যাথন লায়ন ও ক্যামেরন গ্রিনরা একটি করে উইকেট নেন।
এদিকে, স্বাগতিকদের ফলোঅন না করিয়ে নিজেরাই দ্বিতীয় দফায় ব্যাট হাতে নেমে পড়েন খাজা-ওয়ার্নাররা। তৃতীয় দিন শেষে ওয়ার্নারকে হারিয়ে আরও ৮১ রান তুলেছে অজিরা। উসমান খাজা ৩৫ রানে এবং মার্নাস লাবুশানে ৩৭ রানে অপরাজিত আছেন।
যার ফলে ইতোমধ্যেই ৪৮৯ রানে পিছিয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এখনও ম্যাচের দুটি দিন বাকি। যে ম্যাচে আপাতত একটাই ফলাফলের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে- আর তা হচ্ছে অজিদের জয়!
এনএস//